সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ওপার বাংলায় (Bangladesh) হাসিনা সরকারের পতনের পরই রাজনৈতিক অঙ্গনে টালমাটাল অবস্থা। আওয়ামী লীগের কর্মীদের উপর একাধিকবার হামলার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি সীমান্ত পেরিয়ে আত্মগোপনও করেছিল একাধিক রাজনৈতিক নেতারা। তবে এবার ভারতীয় পাসপোর্ট হাতে নিয়ে এক আওয়ামী লীগের সদস্য ধরা পড়ল দিল্লি বিমানবন্দরে। জানা যাচ্ছে, কলকাতার লালবাজার গোয়েন্দা শাখা তাকে গ্রেফতার করে শহরে এনেছে।
কে এই ব্যক্তি?
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ধৃত ব্যক্তির নাম মহম্মদ মিলান। তিনি বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় সদস্য। তবে ভারতে তিনি আত্মপরিচয় গোপন করে বুবাই দুলে নামেই চলছিলেন। সূত্র বলছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝে তিনি সীমান্ত পেরিয়ে বসিরহাটে প্রবেশ করেন। আর সেখানেই দালাল চক্রের মাধ্যমে নকল আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড পেয়ে যান। এমনকি ভারতীয় নাগরিকের পাসপোর্টও তার হাতে চলে আসে।
কীভাবে তৈরি হল এই ভুয়ো পাসপোর্ট?
ঘটনার তদন্তে করতে গিয়ে রীতিমতো চক্ষু চড়ক গাছে উঠেছে কলকাতা পুলিশের। জানা যাচ্ছে, বারাসতের স্থানীয় দালাল সমরেশ বিশ্বাস এবং হরিদেবপুরের মনোজ গুপ্ত জাল কাগজপত্র জোগাড় করে দিয়েছিল। আর এইসব নথি ব্যবহার করে বসিরহাট পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে গিয়ে তিনি পাসপোর্ট বানিয়ে ফেলেন।
এমনকি রিজিয়নাল পাসপোর্ট অফিসে ভেরিফিকেশন ও গ্রান্টিং অফিসারকে ম্যানেজ করেই বুবাই দুলে নামে সেই পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। আর ভারতীয় পাসপোর্ট একবার পেয়ে যাওয়ায় তিনি দিল্লিতে চলে যান এবং সেখানে শুরু করেন ব্যবসা। সব ঠিকঠাকই চলছিল। তবে তিনি থাইল্যান্ড যাওয়ার প্রস্তুতি নিতেই সমস্যা বাঁধে।
কোথায় ধরা পড়লেন তিনি?
সূত্রের খবর অনুযায়ী, দিল্লি বিমানবন্দর থেকে তিনি থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছিল। তখন ইমিগ্রেশন অফিসারদের সন্দেহ হয়। ভারতীয় পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও তার গতিবিধিতে কিছু অসঙ্গতি দেখা যায়। আর তখনই ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কলকাতা পুলিশকে খবর দেয়। এরপর লালবাজার থেকে পৌঁছে যান তদন্তকারীরা। তারপর মিলানকে গ্রেফতার করে কলকাতায় আনা হয় ট্রানজিট রিমান্ডে।
আরও পড়ুনঃ মেসি নাকি রোনাল্ডো, কে সেরা? এবার উত্তর বুঝিয়ে দিলেন Google-র সিইও সুন্দর পিচাই
এমনকি তদন্ত উঠে এসেছে আরও চমক দেওয়া তথ্য। জানা যাচ্ছে, গত বছরের আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় 130 জন বাংলাদেশী নাগরিক ভুয়ো নথিপত্র দিয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট পেয়েছে। এদের মধ্যে আরও কয়েকজন আওয়ামী লীগের সদস্য রয়েছে। আর বেশিরভাগ নথিতেই ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে বসিরহাট, বনগাঁ বা হাওড়া। এমনকি এই ঘটনায় 13 জন ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে, আর বেশ কয়েকজন পলাতক।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |