বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বহু আগেই প্রাণঘাতী নয়, চিন থেকে এমন সব উন্নত অস্ত্র আমদানি করেছিল মালদ্বীপ। পরবর্তীতে পাকিস্তানের বন্ধু তুরস্ক থেকেও বেশ কিছু বিপদজনক ড্রোন কিনেছিল মহম্মদ মইজ্জুর দেশ (Maldives-Turkey Drone Deal)। তারাই এবার ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে তুর্কি থেকে আরও দুটি বা তার বেশি উন্নত প্রযুক্তির ড্রোন কিনেছে বলেই দাবি করছে মালদ্বীপের একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। এদিকে নবভারত টাইমসের রিপোর্ট বলছে, চিন, পাকিস্তানের পর এবার তুরস্কের সাথে দ্বীপরাষ্ট্রটির এত ঘনিষ্ঠতা ভারতের জন্য যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে!
দুর্বল অর্থনীতি নিয়েও ড্রোন কিনতে বিপুল ব্যয় মইজ্জুর
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মালদ্বীপ ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স একটি ড্রোন ঘাঁটি স্থাপন করেছে। না বললেই নয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে গানা ইংল্যান্ডের রয়্যাল এয়ার ফোর্সের ঘাঁটি ছিল এটি। তবে পরবর্তীতে 1965 সালে ব্রিটেন এই ঘাঁটি ছেড়ে দিলে সেটি হয়ে উঠেছিল মালদ্বীপের স্বাধীনতার অন্যতম প্রতীক। এদিকে দ্বীপ রাষ্ট্রটির এক অফিসিয়াল নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ‘তুরস্ক থেকে যে TB2 ড্রোনগুলি পাওয়া গিয়েছে তার বিবরণ জানায়নি সরকারি কর্মকর্তারা। তবে ওই ড্রোনগুলির পরীক্ষায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।”
এদিকে, মালদ্বীপের অর্থনীতি কার্যত ভেঙে পড়েছে। আর ঠিক সেই আবহে ড্রোন কিনতে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। দ্বীপ রাষ্ট্রটির এক বিরোধী নেতা বলেন, ‘তুরস্ক থেকে এই ড্রোনগুলি কেনার জন্য কম করে 9 মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছে।’ ফলে, দুর্বল অর্থনীতি নিয়ে ড্রোন খাতে এত ব্যয় নিয়ে বিরোধী পক্ষের কাঠগড়ায় উঠেছেন মইজ্জু। যদিও এসবের মাঝেই চিন, পাকিস্তানের পর তুরস্কের সাথে সখ্যতা এবং সেখান থেকে ড্রোন আমদানি ভারতের উদ্বেগে নতুন মাত্রা যুগিয়েছে সেটা বলাই যায়।
অবশ্যই পড়ুন: SIR আতঙ্কে পালানোর চেষ্টা, স্বরুপনগর সীমান্তে আটক ৩৮ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী
মালদ্বীপের ড্রোন আমদানি কেন ভারতের জন্য উদ্বেগের?
বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, মালদ্বীপের মতো ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র হঠাৎ তুরস্ক থেকে কেন ড্রোন আমদানি বাড়াল তার আসল কারণ না জানা গেলেও, এই ঘটনা ভারতের কপালে চিন্তার ভাজ বাড়িয়েছে। তাঁদের মতে, ‘ভারতকে এখন চারপাশে বেশি করে নজর রাখতে হবে। কারণ চিন, পাকিস্তান এবং তুরস্ক একসাথে পশ্চিম ভারত মহাসাগরে ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে নজর রেখে চলেছে। এদিকে তাদের সাথে গভীর সখ্যতা রয়েছে মালদ্বীপের। আর তারাই কিন হঠাৎ তুরস্ক থেকে ড্রোন আমদানি বাড়িয়েছে। এমতাবস্থায় নয়া দিল্লির উচিত, নিজে থেকেই তুরস্ককে ড্রোন সহ অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে পাশে থাকা।’












