সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: খুব শীঘ্রই মহাকাশে দেখা মিলবে সুপারমুনের (Supermoon 2025)। এবার পৃথিবীর সবথেকে কাছে আসছে চাঁদ! জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছে, খুব শীঘ্রই মহাকাশপ্রেমীরা এই আকর্ষণীয় দৃশ্য উপভোগ করতে পারবে। কারণ, আগামী ৫ নভেম্বর, বুধবার আকাশের চাঁদ স্বাভাবিক দিনের তুলনায় কিছুটা বড় এবং উজ্জ্বল দেখাবে। আর এটিকেই বলা হচ্ছে সুপারমুন।
জানা গিয়েছে, চাঁদ যখন তার কক্ষপথে পৃথিবীর সবথেকে কাছে অবস্থান করে, তখনই এই সুপারমুন সৃষ্টি হয়। আর মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, এই কারণেই চাঁদ তার স্বাভাবিকের থেকে ৩০% বেশি উজ্জ্বল এবং ১৪% বেশি বড় দেখায়।
বলে রাখি, চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করা ঠিকই। তবে তার কক্ষপথ সম্পূর্ণ বৃত্তাকার নয়, বরং উপবৃত্তাকার কক্ষপথে ঘোরে। অর্থাৎ, প্রদক্ষিণ করার সাথে সাথে কখনও পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে, আবার কখনও দূরে চলে যায়। আর ৫ নভেম্বরের এই সুপারমুন বছরে তিনটি সুপারমুনগুলির মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং সবথেকে নিকটতম হতে চলেছে। এমনকি এদিন চাঁদ পৃথিবী থেকে মাত্র ৩,৫৭,০০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করবে।
জোয়ার উঠতে পারে সমুদ্রে
লোয়েল অবজারভেটরির জ্যোতির্বিদ লরেন্স ওয়াসারম্যান বলেছেন, যেই সুপারমুনের সময় সমুদ্রে জোয়ারও দেখা দিতে পারে। কারণ, চাঁদ পৃথিবীর সবথেকে কাছে চলে আসবে। কিন্তু হ্যাঁ, সেরকম পার্থক্য লক্ষ্য করা যাবে না। আকাশ পরিষ্কার থাকলে সুপারমুন দেখার জন্য কোনও বিশেষ সরঞ্জামেরও প্রয়োজন পড়বে না। কিন্তু চাঁদের আকারের পরিবর্তন খালি চোখে দেখা কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
বলে রাখি, এই সুপারমুন শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন জ্যোতির্বিদ রিচার্ড নোলে। ১৯৭৯ সালে এক পূর্ণিমার দিন চাঁদকে স্পষ্ট ও অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি উজ্জ্বল দেখাচ্ছিল। সেজন্যই তিনি সুপারমুন শব্দ ব্যবহার করেন। উল্লেখ্য, এটিই পৃথিবীর সবথেকে কাছের পূর্ণিমা হতে চলেছে। তাই চাঁদকে সবথেকে উজ্জ্বল আর বড় দেখাবে। তাই অবশ্যই ৫ নভেম্বরের রাতে আকাশের দিকে চোখ রাখতে ভুলবেন না।












