সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বছর শেষে বাড়তে চলেছে স্মার্টফোনের দাম (Smartphone Prices May Increase)! হ্যাঁ, ভারতের সাশ্রয়ী মূল্যের এবং মাঝারি মানের স্মার্টফোনের দাম এ বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে অনেকটাই বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আর এর মূল কারণ, স্মার্টফোন তৈরিতে ব্যবহৃত মেমোরি চিপের দামের ঊর্ধ্বগতি। রিপোর্ট অনুযায়ী, মেমোরি চিপের সরবরাহ ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। এর ফলে মোবাইল কোম্পানিগুলির উৎপাদন খরচ অনেকটাই ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
চাহিদা বাড়ছে মেমোরি চিপের
সম্প্রতি ট্রেন্ডফোর্সের একটি রিপোর্টে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, প্রধান চিপ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলি এখন স্মার্টফোনের মেমোরি চিপ থেকে তাদের মনোযোগ সরিয়ে এআই সার্ভার আর উচ্চ কার্যক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটারের জন্য চিপ বানানোর কাজ শুরু করছে। এমতাবস্থায় এআই প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার কারণে ডেটা সেন্টারগুলিতে এই মেমোরি চিপের চাহিদা হু হু করে বাড়ছে। যার ফলে স্মার্টফোন মেমোরির উৎপাদন অনেকটাই হ্রাস পাচ্ছে।
বলাবাহুল্য, এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য ও ভবিষ্যতের সরবরাহ ঘাটতি এড়াতে অনেক স্মার্টফোন কোম্পানি ইতিমধ্যেই চিপের অগ্রিম ক্রয় শুরু করেছে। কিন্তু বাজারের চাহিদা আর সরবরাহের ভারসাম্য দিনের পর দিন ব্যাহত হচ্ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, মেমরি চিপের দাম এ বছরের শেষে 10% এর বেশি বাড়বে। সে কারণেই স্মার্টফোনের দাম অনেকটা বাড়তে পারে বলে অনুমান।
এআই সার্ভার আসল কারণ?
এদিকে কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চের এক বিশ্লেষক সম্প্রতি বলেছেন, এআই সার্ভার এবং ক্লাউড প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে দিনের পর দিন চিপের চাহিদা বাড়ছে। এমনকি এই চিপগুলো স্মার্টফোনের চিপের তুলনায় কোম্পানিকে বেশি মুনাফা দিচ্ছে। তাই কোম্পানিগুলি এখন সেই খাতে বেশি বিনিয়োগ করছে। উল্লেখ্য, শুধুমাত্র মেমোরি চিপ নয়, বরং প্রতিটি স্মার্টফোনে ডেটা সংরক্ষণের জন্য NAND ফ্ল্যাশ স্টোরেজের দামও বাড়ছে। আর এ বছরের শেষে তা 5 থেকে 10% বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ৪ নভেম্বর থেকে বাড়ি যাবে BLO-রা! দেখুন এনুমারেশন ফর্ম কেমন হবে আর কীভাবে ভরবেন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রমবর্ধমান খরচের কারণে স্মার্টফোন কোম্পানিগুলির কাছে এখন বর্তমানে দুটি রাস্তা খোলা থাকবে। হয় তারা ডিভাইসের ফিচার কমাবে, নাহয় সরাসরি গ্রাহকদের উপর খরচের দিক থেকে চাপ দেবে। তাই আগামী মাসগুলোতে যে স্মার্টফোনগুলি আর বাজেটের মধ্যে থাকবে না বা আগের মতো সাশ্রয়ী হবে না, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ফলত গ্রাহকদের এখন থেকে বাড়তি মূল্য দিতে হতে পারে স্মার্টফোন কেনার জন্য।












