বলা হয় লটারির যে কোনও মানুষের ভাগ্য বদলে দিতে পারে। লটারির নেশা হয় কাউকে লাখপতি, কোটিপতি করে তুলতে পারে। আবার এই লটারির নেশা কোনও মানুষকে রাস্তার ভিখারি করে রেখে দেয়। প্রত্যেকদিন কয়েক লক্ষ মানুষ এই লটারির টিকিটের মাধ্যমে নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করেন। তেমনই সম্প্রতি মালদার এক ছাপোষা মাছ ব্যবসায়ী ভাগ্য পরীক্ষার লক্ষ্যে লটারির টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যা ঘটল তা হয়তো কেউ স্বপ্নেও কল্পনাও করতে পারেননি যে এমন হবে।
আরও পড়ুনঃ DA অতীত, পয়লা বৈশাখের আগে সরকারি কর্মীদের বাড়ছে এই ৫ ভাতা
এখন আপনিও কি ভাবছেন যে কী হয়েছে মাছ ব্যবসায়ীর সঙ্গে? তাহলে বিস্তারিত জানতে ঝটপট পড়ে ফেলুন আজকের এই প্রতিবেদনটি। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা অশোক মহালদার পেশায় একজন মাছ ব্যবসায়ী। বিগত কিছু সময় ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। এরপর চিকিৎসা করাতে গিয়ে রীতিমতো তাঁর কপাল খুলে গেল। লটারির টিকিট তাঁকে রাতারাতি ছাপোষা মাছ ব্যবসায়ী থেকে কোটিপতি করে তুলল।
অভাবের সংসার মালদার মাছ ব্যবসায়ীর
মাছ ব্যবসায়ী হলেও অশোক মহালদারের বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী,এক ছেলে এবং এক মেয়ে। কিন্তু বাড়িতে নিত্য অভাব অনটন। ছেলে, মেয়ে, স্ত্রীর মুখে দুমুঠো অন্ন তুলতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হত তাঁকে। এদিকে ভাগ্য ফেরানোর আশায় তিনি প্রায়ই লটারির টিকিট কাটতেন, কিন্তু কোনওদিনই তেমন কপাল চমকায়নি, কিন্তু এবারে হল কেল্লাফতে। জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিক সমস্যাতেও ভুগছিলেন অশোকবাবু। এরপর বাড়াবাড়ি হলে শুক্রবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তিনি চাঁচল সদরের একটি ক্লিনিকে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে ৩০ টাকা দিয়ে একটি লটারির টিকিট কাটেন। ব্যস, শুক্রবার ‘ডিয়ার মর্নিং লটারি’তে এক কোটি টাকার প্রথম পুরস্কার জিতে নিলেন অশোক মহালদার। এদিকে এই খবর চাউর হতেই সব জায়গায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
৩০ টাকার লটারি টিকিট
এদিকে মহালদার পরিবারে এখন খুশির হাওয়া বইছে। অশোক মহালদার জানান, ‘মাঝে মাঝে টিকিট কাটতাম। ৩০ টাকার লটারি কেটেছিলাম। ফলাফল মিলিয়ে দেখি আমি এক কোটি টাকা জিতেছি। খুব ভালো লাগছে।এবার ছেলে মেয়েদের ভালো ভাবে পড়াশোনা করাতে পারবো।’