শয়ে শয়ে নয়, মাত্র ৩০ টাকা খরচে পৌঁছে যান বিষ্ণুপুর! এই দিন চালু হবে নয়া রেল পথ

Published on:

tarakeswar-bishnupur

অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। সাধারণ মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে রেল এবার এক দীর্ঘ প্রতীক্ষিত রেললাইন শুরু করতে চলেছে বলে খবর। এমনিতেই সাধারণ মানুষের কথা ভাবনা চিন্তা করে প্রত্যেকবারই কিছু না কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে রেল। যাত্রী সাধারণের কথা ভাবনা চিন্তা করে একের পর এক রেল রুট, ট্রেন, রেল স্টেশন সেই সঙ্গে ট্রেনে বসার আসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করার চেষ্টা করছে রেল।

বিষ্ণুপুর যাওয়ার নয়া রেলপথ

WhatsApp Community Join Now

তবে এরই মাঝে বাংলা একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত রুট চালু হওয়ার জন্য তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে ইঙ্গিত দিল রেল। কাজ একদম শেষের দিকে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছর বা সামনের বছরের মধ্যে যেকোনও সময় রুটটি শুরু হয়ে যেতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এখন আপনি নিশ্চয় ভাবছেন যে কোন রেলরুটের কথা বলা হচ্ছে? তাহলে বিস্তারিত জানতে ঝটপট পরে ফেলুন আজকের এই প্রতিবেদনটি।

আপনি জানলে খুশি হবেন, এবার তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুরের মধ্যে সংযোগকারী রেললাইন তৈরির কাজ একদম শেষের দিকে। এই রেল লাইন তৈরি কাজ শেষ হলে চোখের নিমেষে তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর এবং বিষ্ণুপুর থেকে তারকেশ্বর আসা যাবে। শুধুমাত্র তাই নয় ভাড়াও এক ধাক্কায় কমে হবে ৩০ টাকা। এমনিতে সড়কপথে যেতে টাকা লাগে ১৫০ টাকার কাছাকাছি। কিন্তু এই রুটটি তৈরি হয়ে গেলে মাত্র ৩০ টাকা খরচ দুই জায়গায় যাওয়া যাবে।

তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর লাইন নিয়ে বড় তথ্য রেলের

কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে সম্প্রতি বড় তথ্য দিয়েছে পূর্ব রেল। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল সংযোগ প্রকল্পটি প্রায় শেষের পথে, বিভিন্ন অংশে বৃহত্তর অংশের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। ২০২৫ সালে এই লাইনটি চূড়ান্ত চালু হবে বলে আশা করছে রেল থেকে শুরু করে বাংলার মানুষজন।

২০০১ সালে অনুমোদিত বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর নিউ লাইন প্রকল্পটি ৮৭ কিলোমিটারেরও বেশি বিস্তৃত এবং এটি কেবল তীর্থযাত্রার ক্ষেত্রেই নয়, দক্ষিণ পূর্ব রেল এবং পূর্ব রেলওয়ের মধ্যে পণ্য পরিবহনের বিকল্প রুট হিসাবেও গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ হিসাবে কাজ করবে। পূর্ব রেলের মতে, মূলত জমি অধিগ্রহণ এবং বিরোধের কারণে প্রকল্পটি যথেষ্ট দেরি হয়েছিল। প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে পূর্ব রেল কয়েকটি ধাপে তাদের কৌশল সংশোধন করে। পূর্ব রেল জানিয়েছে, ময়নাপুর থেকে বড় গোপীনাথপুর পর্যন্ত ৭.৭ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত মাটির কাজ এবং সেতুর ৮০ শতাংশেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে এবং বড় গোপীনাথপুর স্টেশন ভবনের নির্মাণ কাজ পুরোদমে চলছে।

আরও পড়ুনঃ

এছাড়া দ্বিতীয় পর্যায়ে বড় গোপীনাথপুর থেকে জয়রামবাটি পর্যন্ত ৭.১ কিলোমিটার পর্যন্ত ৭.১ কিলোমিটার পর্যন্ত ৭০ শতাংশ মাটি ও সেতুর কাজ শেষ হয়েছে এবং বর্তমানে জয়রামবাটি স্টেশন ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। পরবর্তী পর্যায়ে জয়রামবাটি থেকে কামারপুকুর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ কাজ জমি অধিগ্রহণে বিলম্বের কারণে, বিশেষত ২.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সময়ের কারণে কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছিল বলে জানা গেছে। যদিও জট এখন কেটে গিয়েছে এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শীঘ্রই এই রেল রুট তৈরি হয়ে যাবে।

সঙ্গে থাকুন ➥
X