লোকসভা ভোটের মুখে ED-র পর হামলার মুখে পড়েছে NIA। ইডির পর এহেন আরও এক কেন্দ্রীয় অন্তকারী সংস্থা অর্থাৎ NIA-র ওপর ভূপতিনগরে হামলার ঘটনাকে ঘিরে দেশজুড়ে তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এবার এই ঘটনায় চরম পদক্ষেপ নিল NIA। ‘হামলা’-র ঘটনায় এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিকে মামলা দায়েরের অনুমতি অবধি দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত ৬ এপ্রিল পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর যেন হয়ে ওঠে দ্বিতীয় সন্দেশখালি। ED-র পর শনিবার আক্রান্ত হন এনআইএ-র আধিকারিকরা।
NIA-কে অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের
ভূপতিনগরে বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হন এনআইএ-র আধিকারিকরা। ইট দিয়ে গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ভোটের মুখে এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে ভূপতিনগরে বিস্ফোরণ-মামলার তদন্তে গিয়ে হামলার শিকার হলেন এনআইএ-র আধিরকারিকরা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই তৃণমূল কর্মীকে নিয়ে আসার সময় এই হামলা বলে দাবি NIA-র।
মাথা ফাটে NIA-র এক আধিকারিকের
এই ঘটনায় মাথা অবধি ফেটে যায় এক আধিকারিকের। বলাই মাইতি ও মনোব্রত জানাকে নিয়ে আসার সময় হামলা। এর আগেও দুজনকে তলব করেছিল এনআই। এদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে সরব হয় রাজ্য পুলিশ। ভূপতিনগর থানায় এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করে ধৃত এক তৃণমূল নেতার পরিবার। FIR দায়ের করে সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ ফের কপাল পুড়তে চলেছে শিক্ষকদের? ভোটের আগে হাইকোর্টের এক রায়ে থরহরিকম্প রাজ্যে
যদিও রাজ্য পুলিশের এখানেও দাবীকে নস্যাৎ করে দিয়ে একটি বিবৃতি জারি করে এনআইএ। ল বিবৃতিতে NIA জানায়, বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃত দু’জনকে স্থানীয় থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজিত জনতা রীতিমতো বিনা প্ররোচনায় তদন্তকারীদের উপরে হামলা চালায়। এক জন তদন্তকারী আহত হন এবং এনআইএর সরকারি গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিয়ম মেনেই তদন্ত চালানোর কথা বলে এনআইএ বিবৃতিতে জানায়, নিরপেক্ষ সাক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। সঙ্গে ছিলেন সিআরপিএফ জওয়ান এবং মহিলা কনস্টেবলরা।