লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে যুবশ্রী, কন্যাশ্রী সহ একাধিক জনদরদী প্রকল্প এনে সকলকে চমকে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যদিও সবকিছুর মধ্যে অন্যতম হিট প্রকল্প হল ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প। ইতিমধ্যে চলতি বছরের রাজ্য বাজেট পেশ করার সময়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। যদিও এবার বিজেপি নেত্রী জানালেন, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এই সরকারি পরিষেবা!
এমনিতেই এখন সাধারণ শ্রেনির মহিলারা ১০০০ টাকা এবং অনগ্রসর জাতির মহিলারা মাস প্রতি ১২০০ টাকা করে পাচ্ছেন। এপ্রিল মাস থেকে এই নতুন অঙ্কের টাকা ঢুকছে রাজ্যের লাখ লাখ মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প শুরু করার লক্ষ্যই ছিল মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলা। যাইহোক, সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে যারপরনাই খুশি মহিলারা। কিন্তু বিজেপির এক নেত্রীর দাবিকে ঘিরে রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এক বিজেপি নেত্রী জানিয়েছেন,আগামী তিন মাসের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।
আরও পড়ুন : মাথায় হাত সরকারি কর্মীদের, বহু বছরের মামলার পর বড় রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট
বন্ধ হয়ে যাচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার?
বিজেপি মহিলা মোর্চা নেত্রী জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি যদি বাংলায় ৩৫টি আসনে জয়ী হয় তাহলে মাত্র ৩ মাসের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। স্বাভাবিকভাবেই ভোটের মুখে বিজেপি নেত্রীর দাবিকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
Watch as this @BJP4India leader openly targets "Nari-Shakti" by threatening to discontinue Lakshmir Bhandar, a scheme that uplifts the women of Bengal.
After depriving 59 lakh people of their MGNREGA dues, 11.36 lakh people of their Awas Yojana funds, the BJP now wants to… pic.twitter.com/hcdTD2jzg8
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) April 15, 2024
আরও পড়ুন : ডিএ-র পর EPFO নিয়ে নয়া নির্দেশ কেন্দ্রের, মাথায় বাজ পড়ল কর্মীদের
এদিকে বিজেপি নেত্রীর এহেন দাবিকে ঘিরে আসরে নেমেছে শাসক দল তৃণমূল। এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও শেয়ার করে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, ‘দেখুন কীভাবে বিজেপি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে নেত্রী প্রকাশ্যে ‘নারী-শক্তি’কে নিশানা করেছেন। ৫৯ লক্ষ মানুষকে তাঁদের মনরেগা বকেয়া, ১১.৩৬ লক্ষ মানুষকে আবাস যোজনার টাকা থেকে বঞ্চিত করার পর বিজেপি এখন বাংলার ২.১১ কোটি মহিলাকে লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে বঞ্চিত করতে চাইছে। আমরা বিজেপির জমিদারি এজেন্ডার তীব্র নিন্দা করছি। বিজেপির একটাই লক্ষ্য, কারোর ভালো করব না এবং কারোর ভালো হতেও দেবো না।’