লোকসভা ভোটের মুখে এমনিতেই DA বৃদ্ধির দাবিতে সরব হয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। কয়েকশো দিন ধরে বিক্ষোভ দেখানোর পরেও বিক্ষোভকারীদের আওয়াজ প্রশাসনের কান অবধি পৌঁছাচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন সকলে। এদিকে সামনেই রয়েছে লোকসভা ভোট। কবে এই বকেয়া এবং কেন্দ্রীয় হারে ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকার কিছু সুখবর শোনাবে সেদিকে নজর রয়েছে সকলের। কিন্তু এরই মাঝে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যা শুনলে চমকে উঠবেন আপনিও।
বিশেষ করে আপনিও যদি শিক্ষক বা শিক্ষিকা হয়ে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য। বাংলার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে এমন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার যে সম্পর্কে শুনলে আপনিও চমকে উঠবেন কার্যত। এদিকে অনেকেই লোকসানের মুখে পড়বেন বলে দাবি করা হচ্ছে। আসলে সরকারের তরফে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যে এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আর এই নির্দেশিকা স্বেচ্ছা অবসর বা ভলেন্টিয়ার রিটায়ারমেন্ট নিয়ে জারি করেছে সরকার।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্দেশিকায় মাথায় বাজ শিক্ষকদের
সরকারি শিক্ষকদের মাথায় কার্যত চিন্তার বাজ ভেঙে পড়েছে। আগের নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে স্বেচ্ছা অবসর নিতে চাইতেন পর্ষদের কাছেই সরাসরি আবেদন জানাতে হত। পর্ষদেই তা গ্রাহ্য হত। তবে এবার এই নিয়মে আমূল বদল ঘটালো সরকার। এখন এই স্বেচ্ছা অবসর নেওয়া কিন্তু মোটেই আর সহজ হবে না। বরং অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে তবেই মিলবে অনুমতি।
আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে টেক্কা! মহিলাদের ১৫ হাজার টাকা দেবে কেন্দ্র
সরকারের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে স্বেচ্ছাবসর নিতে গেলে এবার থেকে শিক্ষকদের আবেদন জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট স্কুলের কাছে। এরপর স্কুলে আবেদন জানালে সেই আবেদনের ভিত্তিতে স্কুল পরিচালন সমিতির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে। তারপর তা যাবে জেলা পরিদর্শকের কাছে। সেখান থেকে সবশেষে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে স্বেচ্ছাবসরের আবেদনপত্র পৌঁছাবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে। ইতিমধ্যে স্কুলগুলিতে এই নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে বলে খবর। সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের প্রভাব অনেকটাই পেনশনের ওপর পড়বে বলে মনে হচ্ছে।