সরাসরি এখন ট্রেনের মাধ্যমে যাওয়া সম্ভব হবে সিকিমে। জোরকদমে চলছে কাজ। যারা ঘুরতে পছন্দ করেন তাঁদের কাছে সিকিমের মাহাত্ম্যই আলাদা। বিশেষ করে যারা পাহাড়ে ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন তাঁরা সিকিম বা দার্জিলিং পছন্দ করেন না সেটা হতেই পারে না। এতদিন দার্জিলিং বা কালিম্পং যাওয়ার ক্ষেত্রে নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি রেল স্টেশন একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। NJP স্টেশনকে এমনিতেই উত্তরবঙ্গের প্রবেশ দ্বার বলা হয়।
অন্যদিকে সিকিমে যেতে গেলেও সেই এই এনজেপি বা শিলিগুড়ি স্টেশন যেতে হয় পর্যটকদের। এখান থেকে সিকিম যেতেও প্রায় অনেক ঘণ্টা লেগে যায়। তবে এখন আর চিন্তা নেই। ভারতীয় রেলের তরফে এমন এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যার দরুণ সকলের মুখে হাসি ফুটবে। মূলত এবার এক ট্রেনে আপনি কলকাতা থেকে সোজা সিকিম পৌঁছে যেতে পারবেন। রংপো রেলওয়ে স্টেশনের কাজ চলছে জোরকদমে। মূলত তিনটি পর্যায়ে শেষ হচ্ছে, এর অধীনে প্রথম পর্যায়ে সেবক থেকে রেংপো, দ্বিতীয় পর্যায়ে রংপো থেকে গ্যাংটক এবং তৃতীয় পর্যায়ে গ্যাংটক থেকে নাথুলা পর্যন্ত রেল লাইন পাতা হবে।
এদিকে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হলে চিন সীমান্তবর্তী সিকিমে শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থাই বাড়বে না, দেশের জাতীয় প্রতিরক্ষা এজেন্ডাও জোরদার হবে। যাইহোক, আজ আলোচনা হবে সেবক থেকে রংপো অবধি রেল পরিষেবা নিয়ে। সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের জন্য ৮৫৫ মিটার দীর্ঘ জরুরি প্রস্থান টানেলের কাজ শেষ হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় সিকিমকে প্রথমবারের মতো রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
আধিকারিকদের মতে, টানেলের ২০ মিটার অংশ জাতীয় সড়ক-১০ এর নীচে তিস্তা নদীর কাছে রয়েছে। নরম মাটিতে খনন করা পুরো প্রকল্পের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল। যদিও কাজ অনেকটাই শেষ। রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তাঁরা ‘সেকেন্ড পাইলিং পদ্ধতি’ ব্যবহার করেছেন। এক রেল আধিকারিক বলেন, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) দ্বারা এটি পরীক্ষা করার পরে, ইরকন কর্মকর্তারা খনি অপারেশনের দক্ষতা ব্যাখ্যা করে একটি কেস স্টাডি করেছিলেন।
আরও পড়ুনঃ IPL-র এই নিয়মই হবে কাল! বিশ্বকাপে চরম সমস্যায় পড়বে টিম ইন্ডিয়া, আশঙ্কা রোহিতের
যাইহোক, সেবকে এবং সিকিমের রংপোর মধ্যে মোট ৪৪.৯৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেল লাইন হয়েছে। যার মধ্যে ১৪ টি টানেল, ২২ টি সেতু থাকবে। সেইসঙ্গে যে যে স্টেশনগুলি থাকবে সেগুলি হল সেবক, রিয়াং, তিস্তা বাজার, মেল্লি এবং রংপো।