জীবনে একবার হলেও বিদেশে ঘুরতে যেতে কে না চান। আপনিও নিশ্চয়ই চান? কিন্তু এই বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার আগে সবথেকে আগে যেটা জরুরি সেটা হল পাসপোর্ট। এই পাসপোর্ট ছাড়া আপনি এয়ারপোর্টের গেটের ভেতরে ঢুকতেও পারবেন না। যাইহোক, আচ্ছা আপনার মাথায় কি কখনও এই প্রশ্ন জেগেছে যে কোন দেশের পাসপোর্ট সবথেকে বেশি দামি?
যদি না জেনে থাকেন বা এই প্রশ্ন আপনার মাথাতেও ঘোরাফেরা করে থাকে তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য। ভারতীয় পাসপোর্টের স্থানই বা কততে আছে জেনে নিন। ভারতের পাসপোর্ট দামি না কম দামি জেনে নিন এই লেখার মাধ্যমে। এমনিতে একটা পাসপোর্ট বানাতে গিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয় মানুষকে। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই সকলের কাছে একটি পাসপোর্টের মূল্য অনেকটাই বৈকি।
আপনি জানলে হয়তো অবাক হবেন, ভারতীয় পাসপোর্ট বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় সস্তা এবং বার্ষিক ব্যয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সাশ্রয়ী। এদিকে এই সস্তার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাসপোর্ট। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। গবেষণায় দেখা গেছে গেছে, ‘বৈধতার প্রতি বছরের ব্যয়’-এর নিরিখে ভারতের পাসপোর্ট সবচেয়ে সাশ্রয়ী। একজন ভারতীয় পাসপোর্টধারী ৬২টি দেশে ভিসামুক্ত ভ্রমণ করতে পারেন। আর এই সমীক্ষা বা গবেষণা চালিয়েছে বিখ্যাত অস্ট্রেলিয়ান ফার্ম কম্পেয়ার দ্য মার্কেট এইউ।
আরও পড়ুনঃ হাওড়া থেকে এই রাজ্যে ছুটবে ‘বন্দে মেট্রো’, কোন কোন সময়? টাইমটেবিল দিল রেল
এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কোন দেশের পাসপোর্ট সবথেকে মূল্যবান? এক গবেষণায় উঠে এসেছে, মেক্সিকোর পাসপোর্ট হল সবচেয়ে ব্যয়বহুল, যার মূল্য ২৩১.০৫ মার্কিন ডলার। সংস্থার বিবৃতি অনুসারে, ভারতের পাসপোর্ট সামগ্রিকভাবে তালিকার দ্বিতীয় সস্তা পাসপোর্ট, ১০ বছর বৈধতার জন্য এর দাম ১৮.০৭ ইউএস মার্কিন ডলার। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৫ বছরের বৈধতার জন্য পাসপোর্টের দাম ১৭.৭০ মার্কিন ডলার। বৈধতার বার্ষিক ব্যয়ের পরিপ্রেক্ষিতে, পাসপোর্টের দাম ভারতে সবচেয়ে সস্তা, প্রতি বছর ১.৮১ ডলার খরচ করে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকা (৩.০৫ ডলার) ও কেনিয়া (৩.০৯ ডলার)। অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার মতো দেশগুলির পাসপোর্টের মূল্য বেশ অনেকটাই।