প্রায় ২৬,০০০ শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিলকে ঘিরে সরগরম হয়ে রয়েছে সমগ্র বাংলা। তবে এরই মাঝে আবার ব্যাপক নিয়োগের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বাম আমলে বঞ্চিত হওয়া ৮০০ শিক্ষককে এবার প্রাথমিকে নিয়োগ করার নির্দেশ দিল আদালত। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আগামী দু মাসের মধ্যে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে বলে খবর।
বাম আমলে শুরু হওয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবশেষে চাকরির ব্যাপারে শিলমোহর দেওয়া হল। মামলাকারীদের সবাইকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারের তরফে। দীর্ঘ ১৫ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার সকলের। উত্তর ২৪ পরগনার প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হন ৮০০ চাকরিপ্রার্থী। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলায় দুর্নীতির কথা স্বীকার অবধি করে নেয় উত্তর ২৪ পরগনার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। এরপরেই বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দেন নিয়োগের।
২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৮০০-র বেশি শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল অবধি হাইকোর্টে মামলাকারী সবাইকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলাকারীদের নথি যাচাই করে তালিকা তৈরির নির্দেশ হাইকোর্টের। সেই তালিকা থেকে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হল আদালতের তরফে। অর্থাৎ ১৫ বছর পর এবার চাকরি পেতে চলেছেন ৮০০-রও বেশি প্রার্থী।
জানা যায়, বিগত ২০০৯ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তার ভিত্তিতে ২০১০ সালে পরীক্ষা হয়। পরের এক বছরের মধ্যে বেশিরভাগ জেলার নিয়োগ সম্পূর্ণ হয়ে গেলেও চারটি জেলায় নিয়োগ হয়নি। দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও মালদহ ছিল তালিকায়। এরপর উত্তর ২৪ পরগনা ছাড়া বাকি ৩ জেলায় নিয়োগ হয়ে যায়। তবে এবার উত্তর ২৪ পরগনাতেও অবশেষে ১৫ বছর পর নিয়োগের নির্দেশ দিল আদালত।