লোকসভা ভোট শুরু হওয়ার কয়েকদিন বাকি থাকতে আচমকা ইস্তফা দিয়ে সাড়া ফেলে দেন IPS অফিসার দেবাশিস ধর। পরে জানা যায় যে তাঁকে বীরভূমের মতো শক্তিশালী লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তবে আচমকাই যেন ছন্দপতন ঘটল। বীরভূমে লোকসভা ভোট হওয়ার আগেই বড় ঘটনা ঘটে গেল। আর এই আকস্মিক ঘটনাটি ঘটল প্রাক্তন আইপিএস অফিসার দেবাশিস ধরের সঙ্গে। কেউ হয়তো ভাবতেও পারেননি যে এমনটা হতে পারে।
এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কী হয়েছে? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর। জানা যাচ্ছে, আচমকা বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর মনোনয়ন বাতিল করে দেয় নির্বাচন কমিশন। জানা যাচ্ছে, প্রাক্তন এই আইপিএস অফিসারর মনোনয়নে ত্রুটি থাকায় বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভোটের মুখে এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই গেরুয়া শিবিরে তীব্র আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে।
যদিও কমিশনের এহেন সিদ্ধান্তকে হজম করে নেননি দেবাশিস ধর বলে মনে হচ্ছে। কারণ কমিশনের এহেন সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন দেবাশিস ধর বলে জানা যাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র থাকার পরও মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। যে কারণে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ বাদ মোহনবাগানের সবথেকে বড় শত্রু! যুবভারতীতে নামার আগে চাপে ওড়িশা
রাজ্যের অভিযোগ, পুলিশের চাকরির ছাড়ার সময় রাজ্য সরকারের তরফে দেবাশিস ধর নাকি ছাড়পত্র পাননি। আবার এও দাবি উঠেছে যে অনেকেই জানতেন নাকি এমনটা হবে। কারণ সম্প্রতি বীরভূমে সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘সদ্য চাকরি ছাড়া আইপিএস আধিকারিক দেবাশিস ধরকে ‘নো ডিউস’ দেয়নি রাজ্য।’ সুপ্রিম কোর্টের একাধিক অভিজ্ঞ আইনজীবীদের একটি টিম বীরভূমে এসে পৌঁছছে। তাঁরাই বৈঠক করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এদিকে এও জানা যাচ্ছে যে বিজেপির তরফে দেবাশিস ধরের জায়গায় দেবতনু ভট্টাচার্যকে প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে বিজেপি।