Whatsapp…একটি জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ। বর্তমান সময়ে এমন কোনও মানুষ হয়ত বাকি নেই যে এই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন না। ভারতেও এই হোয়াটসঅ্যাপের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে রয়েছে। তবে এবার শোনা যাচ্ছে তারা নাকি ভারত থেকে তল্পিতল্পা গোটাতে চলেছে! সত্যিই কি তাই? আর কি তাহলে ভারতীয়রা এই জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন না? তাহলে বিষদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
আসলে দিল্লি হাইকোর্টে বড় কথা জানিয়েছে Whatsapp-এর মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। ‘যদি এনক্রিপশন সরানো নিয়ে বাধ্য করা হয় তাহলে ভারত ছেড়ে চলে যাবো।’ রীতিমতো এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছে Meta। হোয়াটসঅ্যাপ দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, এনক্রিপশন ভাঙতে বললে ভারত থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্রাইভেসি ও এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের কারণে মানুষ এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে। যদি তাদের এটি ভাঙতে হয় তবে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মটি ভারতে কাজ করা বন্ধ করে দেবে। দিল্লি হাইকোর্টে চলমান একটি মামলার শুনানি চলাকালীন হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে এই কথা বলা হয়েছিল।
২০২১ সালের তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) বিধিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। এখানে বলে রাখা জরুরি, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইনফরমেশন টেকনোলজি রুল, ২০২১ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে সেইসময়ে বলা হয়েছিল, এক্স, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াট্সঅ্যাপের মতো সমাজমাধ্যমগুলিকে নতুন নিয়ম মেনে চলতে হবে। প্রয়োজনে চ্যাট অনুসরণ করে কোনও ভাইরাল তথ্যের উৎস সন্ধান করতে হবে। আর এটাই কার্যত মেনে নিতে পারছে না মেটা বলে মনে হচ্ছে।
সহজ ভাষায় ব্যবহারকারীদের মেসেজটি ট্রেস করে জানতে বলা হয়েছে, কে প্রথমবার মেসেজ পাঠিয়েছেন। যদি হোয়াটসঅ্যাপ এটি করে তবে এটিকে সমস্ত ব্যবহারকারীর সমস্ত বার্তা ট্রেস করতে হবে এবং বছরের পর বছর ধরে তাদের একটি রেকর্ড রাখতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপ-এর তেজস কারিয়া প্রধান বিচারপতি মনমোহন ও বিচারপতি মনমীত প্রীতম সিং অরোরার বেঞ্চকে বলেন, “একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে আমরা বলছি, যদি আমাদের এনক্রিপশন ভাঙতে বলা হয়, তবে হোয়াটসঅ্যাপ ভারত ছেড়ে বেরিয়ে যাবে।”
Whatsapp-এর তরফে আইনজীবী আদালতকে জানান, “আমাদের পুরো ব্যাপারটি সম্পর্কে রেকর্ড রাখতে হবে এবং আমরা জানি না কোন বার্তাগুলি ডিক্রিপ্ট করতে বলা হবে। এর অর্থ হ’ল আমাদের বছরের পর বছর ধরে লক্ষ লক্ষ বার্তা সঞ্চয় করতে হবে।” বেঞ্চ জানতে চেয়েছে, অন্যান্য দেশেও এমন নিয়ম আছে কি না। জবাবে হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, বিশ্বের কোথাও এমন নিয়ম নেই। এমনকি ব্রাজিলেও নয়। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ অগাস্ট।