বর্তমানে বিশ্বের পরাশক্তি আমেরিকা। আর তাদের শত্রু দেশের কথা বললে প্রথমেই নাম আসবে রাশিয়া। কিন্তু আজকাল মার্কিন মুলুকের সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে ওঠেছে ইরান। সেই ইরানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক দেখতে গিয়ে ভারী বিপাকে পড়েছে পাকিস্তান। আমেরিকার ভ্রুকুটির সম্মুখীন হয় তারা। দেশের অন্দরে তাদের সমস্যার শেষ নেই, কিন্তু তারইমধ্যে আরও নতুন করে হুমকি পেয়েছে ইসলামাবাদ।
IMF এর ব্ল্যাকলিস্ট থেকে বাইরে এলেও এখনো অবধি অর্থনীতির উন্নতি হয়নি পাকিস্তানের। কিন্তু ইরানিয়ান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির তিন দিনের পাকিস্তান সফর উত্তেজনা বাড়িয়েছে মার্কিন-পাক সম্পর্কে। রাইসির সফরে পাকিস্তানের সাথে মোট ৮টি সমঝোতা স্বাক্ষর হয়। যদিও দুই দেশের মধ্যে কোনও চুক্তি হয়েছে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছেনা। কিন্তু বিভিন্ন সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে যে, ইরান থেকে পাকিস্তানে গ্যাস পাইপলাইন আসা নিয়ে কথা হতে পারে।
বিভিন্ন বিদেশী মিডিয়াতে অবশ্য ইরান এবং পাকিস্তানের মধ্যে ব্যালেস্টিক মিসাইল প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। ইরান এবং পাকিস্তানের মধ্যে যদি বাণিজ্য শুরু হয় তাহলে যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে সেকথা বেশ ভালো করেই জানিয়ে দেয় আমেরিকা। তবে পাকিস্তান আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা অংশীদার, তাই মনে হচ্ছে এই দুই দেশ সরাসরি সংঘাতে জড়াতে চায় না। তবে বিষয়টি নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক করে দিয়েছে মার্কিন দেশটি।
পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দেয় আমেরিকা
পাকিস্তানে রাইসির সফর নিয়ে যে প্রাথমিকে উৎসাহ ছিল তা আমেরিকার হুঁশিয়ারির কারণে শেষ হয়ে যায়। এছাড়া বিগত বেশ কিছু মাসে বদল আসে বিভিন্ন ভূ-রাজনৈতিক ব্যবস্থায়। কিছুদিন আগেই ইজরায়েলের ওপর আক্রমন করে বসে ইরান, সেইথেকেই চাপা উত্তেজনা চলেছে। ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বদল আসায় বিভক্ত হয়ে পড়ে পশ্চিমা বিশ্ব। এমতাবস্থায় ইরানের প্রেসিডেন্টের সফরে চাপ বাড়ে পাকিস্তানের ওপর।
পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াল রাশিয়া
এদিকে এতকিছুর পর আবার ইসালামাবাদ জানিয়ে দেয়, রাইসির সফরের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। উত্তাল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসবাদী দেশটি তাদের সেই পুরানো ধরি মাছ, না ছুঁই পানি অবস্থান গ্রহন করেছে। আবার আরেকদিকে রাশিয়া তাদের প্রত্যাশা পূরন না হওয়াতে পাকিস্তান থেকে চাল কেনা বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বড় ধাক্কা খাবে পাকিস্তান। তাই দুই দিক দিয়েই ভারী সমস্যায় তারা।