দীর্ঘ টালবাহানার পর সুপ্রিম কোর্টে খুব খারাপভাবে মুখ পুড়ল পতঞ্জলির কর্ণধার রামদেবের। সেইসঙ্গে সরকারের কাছেও মুখ থুবরে পুড়তে হল রামদেবকে। আপনিও যদি এতদিন পতঞ্জলির প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য রইল অত্যন্ত জরুরি খবর, যা শুনলে আপনিও চমকে উঠতে পারেন বৈকি। আপনার ঘরেও যদি এখন পতঞ্জলির কোনও প্রোডাক্ট থেকে থাকে তাহলে তা এখনই বর্জন করুন, কারণ এবার রাজ্য সরকার রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলির আই ড্রপ-সহ ১৪ প্রোডাক্ট নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।
এখন আপনার মনেও নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে যে কোন কোন প্রোডাক্ট পতঞ্জলি নিষিদ্ধ করেছে সরকার? তাহলে বিশদে জানতে এখুনই চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর। জানা গিয়েছে, রামদেবের পতঞ্জলি আয়ুর্বেদিক ফার্মা কোম্পানির ১৪টি ওষুধ বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকারের ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ। নিষিদ্ধ প্রোডাক্টে এমন অনেক জিনিস থাকে, যেগুলো মানুষ দীর্ঘদিন ধরে প্রচুর ব্যবহার করে আসছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় এই তথ্য জানিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। সরকার হলফনামায় সাফ সাফ জানিয়েছে, ‘পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ পণ্যের বারবার বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের কারণে আমরা সংস্থার ১৪টি ওষুধ নিষিদ্ধ করেছি।’ যে যে পণ্যগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেগুলি হল স্বসারি গোল্ড, স্বসারি গোল্ড ভাটি, দিব্যা ব্রঙ্কম, স্বসারি গোল্ড প্রভি, স্বসারি গোল্ড আভালেহ, মুক্তা ভাটি এক্সট্রা পাওয়ার, লিডোম, বিপি গ্রিট, মধুগ্রিট, মধুনাশিনী ভাটি এক্সট্রা পাওয়ার, লিভামৃত অ্যাডভান্স, লিভোগগ্রিট, আইগ্রিট গোল্ড এবং পতঞ্জলি দৃষ্টি আই ড্রপ। এই ১৪টি ওষুধের উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। শুধু তাই নয়, এসব ওষুধের লাইসেন্সও বাতিল করেছে সরকার।
সমস্ত জেলা ড্রাগ ইন্সপেক্টরদের কাছে একই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে ইতিমধ্যে বলে খবর। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রককেও এর তথ্য দেওয়া হয়েছে।