গরমের হাত থেকে বাঁচতে এখন বাংলার বেশিরভাগ মানুষই মনে হচ্ছে দার্জিলিং, কালিম্পং নয়তো সিকিমের মতো জায়গায় গিয়ে হাজির হয়েছেন। এদিকে ট্রেন থেকে শুরু করে বাসে সাধারণ মানুষের ভিড় উপচে পড়েছে। একদিকে যখন দক্ষিণবঙ্গের পারদ উর্ধ্বমুখী তখন পাহাড়মুখী হয়েছেন বেশিরভাগ মানুষ। আর এহেন অবস্থায় ‘মৌকে পে চৌকা’ মারছে পাহাড়ের গাড়ির চালকরা।
সমতলে যেহেতু এখন গরম তাই পাহাড়মুখী হচ্ছেন ধীরে ধীরে সকলে। যেহেতু এখন সেখানে ঘুরতে যাওয়ার সিজন তাই গাড়ির চালকরাও ব্যাপক দর হাঁকাতে শুরু করেছেন। এদিকে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের কাছে কোনও উপায় না থাকায় বাড়তি টাকা দিয়েই শৈলশহরে ঢুকতে হচ্ছে। বর্তমানে দার্জিলিং-এর আবহাওয়া মনোরম। বছরের যে কোনও সময়েই দার্জিলিং-এ গেলে সকলেরই মন ভালো হয়ে যায়। শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা, যে কোনো সময়ই হোক না কেন পাহাড়ের আলাদাই রূপ চোখে পরে।
পাহাড় যেন সবসময়ে সকলকে হাতছানি দিয়ে ডাকে, আর এই ডাক চাইলেও ফেরানো যায় না। যাইহোক, পর্যটকদের ভিড় এতটাই বাড়তে শুরু করেছে যে দার্জিলিং শহরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে পর্যটকদের আগমনকে ঘিরে গাড়ি চালকদের থেকে শুরু করে হোটেল ব্যবসায়ীদের ব্যবসা রীতিমতো ফুলেফেঁপে উঠেছে। গাড়ি ভাড়াও হু হু করে বেড়েছে। প্রাইভেট হোক বা শেয়ার গাড়ি, সবেরই ভাড়া এক ধাক্কায় ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা করে বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে এই সময়ে যারা বাজেটের মধ্যে থেকে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাঁদের জন্য এই খবর যথেষ্ট ধাক্কার হতে পারে।