কোনো গৃহশিক্ষক ছাড়ায় মাধ্যমিকে তৃতীয়, কিভাবে জানালো পুষ্পিতা

Published on:

Pushpita Bansuri

বর্তমানে ২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে ঘরে ঘরে আলোচনা চলছে। চলতি বছরই মাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়ার ৮০ দিন পর পরীক্ষার ফলাফল বের করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এদিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মেধা তালিকা দেখে সকলে রীতিমতো চমকে গিয়েছে। এই বছর প্রথম হয়েছে কোচবিহারের রামভোলা হাই স্কুলের চন্দ্রচূড় সেন। ৭০০-র মধ্যে ৬৯৩ পেয়ে সকলকে অবাক করে দিয়েছে সে। মাধ্যমিক পরীক্ষা হল যে কোনও স্কুল পড়ুয়ার জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা।

WhatsApp Community Join Now

মাসের পর মাস ধরে চলে সকলের প্রস্তুতি। এমনকি কোচিং সেন্টারগুলিতে ভিড় জমাতে শুরু করে পড়ুয়ারা। কিন্তু আজ এই প্রতিবেদনে এমন একজনকে নিয়ে আলোচনা হবে যে কিনা মাধ্যমিক পরীক্ষা সত্ত্বেও না এই সময়ে না ছোটবেলা, কোনওরকম ছোট থেকে কোচিংয়ে যায়নি সে। অথচ সেই কিনা চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় তৃতীয় হয়েছে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আজ কথা হচ্ছে মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থানাধিকারী পুষ্পিতা বাঁশুড়িকে নিয়ে।

পরীক্ষায় তাঁর প্রাপ্য নম্বর ৬৯১। পুষ্পিতা গোটা রাজ্যে মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছে। অথচ এমন মেধায় পরিপূর্ণ থাকা পড়ুয়া ছোটবেলা থেকে না কোনো টিউশন না কোচিং সেন্টারে গিয়েছে। আর এই খবর চাউর হতেই সকলে চমকে গিয়েছেন। এই পুষ্পিতা বীরভূমের ইলামবাজার থানার কামারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। নিউ ইন্টিগ্রেটেড গভর্নমেন্ট হাইস্কুলের ছাত্রী পুষ্পিতা। তাঁকে নিয়ে গোটা গ্রামের মানুষের বুক গর্বে আরো কয়েক ইঞ্চি চওড়া হয়ে গিয়েছে।

কোনোরকম টিউশানি না নিয়েও কিভাবে এমন রেজাল্ট করা সম্ভব হলে? প্রশ্নের জবাবে এই মেধাবী ছাত্রী জানায়, ‘খুব ভালো লাগছে এই সাফল্যে। ১০ ঘণ্টা পড়ার চেষ্টা করতাম। ভালো হবে জানতাম। কিন্তু তৃতীয় হব এটা ভাবতে পারিনি।’ পুষ্পিতা ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। পুষ্পিতা জানিয়েছে, ‘ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসতে চাই।আমার মা বাবা সবসময় আমার পাশে ছিলেন। স্কুলের শিক্ষকরা আমার পাশে সবসময় ছিলেন।’

এদিকে পুষ্পিতার মা তনুশ্রী ঘোষ জানিয়েছেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম যে ও মাধ্যমিকে একটা ভালো জায়গায় থাকবে। কিন্তু এতটা ভালো করবে এটা ভাবতে পারিনি। ছোট থেকে ওর মধ্য়ে একটা চেষ্টা ছিল যে আমায় কিছু একটা ভালো করতে হবে। ওর চেষ্টার কোনও ত্রুটি ছিল না। একজন প্রাইভেট টিউশনও ছিল না। নিজের চেষ্টাতে করেছে। আমরা যতটা পেরেছি ততটা করেছি। আমার স্কুলের সহকর্মীরাও খুব সহায়তা করেছে।’আসলে পুষ্পিতার মা নিজে একজন পার্শ্ব শিক্ষিকা।বাবা সত্যনারায়ণ বাঁশুড়ি নিজে গৃহশিক্ষকতা করেন। ফলে পুষ্পিতার আর আলাদা করে টিউশানির দরকার পড়েনি।

সঙ্গে থাকুন ➥