ভারতীয় রেলকে ছাড়া মানুষ বর্তমান চোখে সর্ষে ফুল দেখেন। দেশের এখনও অবধি বহু সংখ্যক মানুষের জীবনের সঙ্গে ভারতীয় রেল একপ্রকার ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। এদিকে ভারতীয় রেলও যত সময় এগোচ্ছে যাত্রীদের ভ্রমণের নতুন নতুন অভিজ্ঞতা দিতে কাজ করেই চলেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। ইতিমধ্যে ছুটির মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা, সকলেই চাইছেন কোনও পাহাড়ি জায়গায় নিরিবিলিতে এবং ঠান্ডা আবহাওয়ায় কয়েকটা দিন কাটিয়ে আসতে।
এখন বাংলার সিংহভাগ মানুষ রীতিমতো ঝেঁটিয়ে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং-এ ছুটছেন। ফলে এই জায়গাগুলিতেও ভিড় বাড়ছে। সেইসঙ্গে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলিতেও বাড়ছে মানুষের ভিড়। ফলে অনেকেই জেতে চাইলেন ভিড় দেখে পিছিয়ে যাচ্ছেন। তবে এরই মাঝে বাংলা থেকে আরও এক বিশেষ জায়গার জন্য ট্রেন দিল রেল। আর এই ট্রেনে করে গেলেই আপনি উত্তরাখণ্ডের মতো সুন্দর জায়গায় পৌঁছে যেতে পারবেন হুশ করে।
এবার আপনি একটা ট্রেনেই সোজা বাংলা থেকে নৈনিতাল পৌঁছে যেতে পারবেন। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। আপনি কলকাতা থেকেও এখানে যেতে পারেন। তবে তার জন্য আগে আপনাকে মালদা যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে নৈনিতাল অবধি যাওয়ার জন্য ট্রেন ধরতে হবে। আসলে মালদা থেকে উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালের কাছাকাছি লালকুয়ান জংশন অবধি একটি বিশেষ ট্রেন দিয়েছে রেল। উত্তরাখণ্ডের এমন অনেক জায়গা আছে যেটির ওপর থেকে আপনি নজর সরাতে পারবেন না। যার মধ্যে অন্যতম হল এই নৈনিতাল। এখানকার নৈনি লেক, নৈনি মন্দিরে একবার গেলে আর সেখান থেকে ফিরে আসতে চাইবেন না।
যাইহোক, রেল সূত্রে খবর, স্পেশাল এই ট্রেনটির পথচলা গত ২৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে। আগামী ২৬ জুন অবধি এই ট্রেনে করে পর্যটকরা সহজেই নৈনিতাল পৌঁছে যেতে পারবেন। ট্রেন নম্বর ০৩৪১৫ প্রতি সপ্তাহের বুধবার রওনা দেয়। এই ট্রেনটি বিকাল ৫:১৫ মিনিটে মালদা টাউন থেকে ছেড়ে লালকুয়ান জংশনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। এরপর ট্রেনটি পরদিন সন্ধ্যা ৭:০৫ মিনিটে লালকুয়ান জংশন পৌঁছাবে।
অন্যদিকে ফিরতি পথে ট্রেন নম্বর ০৩৪১৬ হয়ে প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার লালকুয়ান জংশন থেকে মালদা টাউন রেল স্টেশনের উদ্দেশ্যে রাত ৯:০৫ মিনিটে রওনা দেবে। এই ট্রেনটি পরদিন রাত ১১:৪৫ মিনিটে মালদা টাউন স্টেশন পৌঁছাবে।