রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে বন্ধ করে দিতে বললেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এদিকে বিচারপতির এহেন মন্তব্য শুনে সকলের মুখ একপ্রকার হাঁ হয়ে গিয়েছে। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে বিচারপতি কেন এমন মন্তব্য করলেন? তাহলে বিষদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
সমগ্র বিষয়টি কী তা জানতে কিছু সময় পিছিয়ে যেতে হবে। গতবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। অনুমতি ছাড়া কোনও মিটিং করা যাবে না, কনভোকেশন করা যাবে না, কোনও উপাচার্য বিদেশে বা কোথাও ঘুরতে যেতে পারবেন না, এই সংক্রান্ত বিষয়ে সেইসময়ে এক বিস্ফোরকমূলক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় সরকারের তরফে। আর এই বিষয়টিই অনেকে মেনে নিতে পারেননি। যে কারণে এই নির্দিষ্ট বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় নামের এক ব্যক্তি। রাজ্য- রাজ্যপাল সংঘাত বারবারই শিরোনামে উঠে এসেছে।
তার ওপর আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করে একাধিক বিষয়ে রাজভবনের হস্তক্ষেপ। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাজভবনের তরফে জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে সাফ সাফ জানানো হয় যে, উপাচার্য, সহউপাচার্য ও রেজিস্ট্রার হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান। ফলে সরকারের অঙ্গুলিহেলন নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর নির্দেশেই কাজ করবেন সহ উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং অন্যান্য কর্তারা। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। রাজ্যের অভিযোগ, সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই এই কাজ করেন রাজ্যপাল। এরপর আরো নানা ইস্যুকে ঘিরে হাইকোর্টে মামলা করে সরকার।
আরও পড়ুনঃ ভারতে দিন দিন কমছে হিন্দুদের সংখ্যা, সংখ্যালঘুদের জনসংখ্যা বাড়ল ৪৩%
যাইহোক, আগের বছরে উপাচার্য ইস্যুতে রাজ্য সরকার যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকার সেই নিয়ে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। যদিও সেই মামলা খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, ‘রাজ্য স্টেট এডেড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কিছু নির্দেশিকা দিয়েছে। সেগুলি মোটেও কোনও রুল নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের যদি এই নির্দেশিকায় অসুবিধা হয় তাহলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হোক।’ তিনি আরো বলেন, ‘সব থেকে ভালো রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিন।’