অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবার ভারতে লঞ্চ হল Google Wallet। ইতিমধ্যে গুগল পে লঞ্চ করে সকলের মধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছে Google। এখন মানুষ এই Google Pay ছাড়া একপ্রকার অচল। কাছে নগদ টাকা না থাকলেও এখন চিন্তা করেন না মানুষ, কারণ এই GPAY ব্যবহার করেই মানুষ পেমেন্ট করতে সক্ষম হচ্ছেন। তবে এবার লঞ্চ হল গুগল ওয়ালেট।
মানুষ দীর্ঘদিন ধরে এই Google Wallet আসার অপেক্ষা করছিলেন। তবে এবার সকল অপেক্ষার অবসান ঘটল। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এই গুগল পে এবং গুগল ওয়ালেটের মধ্যে তফাৎ কী? তাহলে জানিয়ে রাখি, এই গুগল ওয়ালেটের মাধ্যমে মানুষ সহজে এবং নিরাপদে রোজকার পেমেন্ট করতে সক্ষম হবেন।
Google-এর দাবি অনুযায়ী, এই গুগল ওয়ালেট অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে আরও বেশ সহজ ও সুবিধাজনক করে তুলবে আগামী দিনে। এই Google Wallet-এর সাহায্যে যে কোনো ইভেন্টের টিকিট, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট টিকিট, বোর্ডিং পাস, লয়্যালটি কার্ড এবং গিফট কার্ড পেতে পারবেন। জানলে অবাক হবেন, এই অ্যাপের জন্য ২০টি ব্র্যান্ডের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে গুগল। এর মধ্যে রয়েছে পিভিআর, এয়ার ইন্ডিয়া, আইনক্স, ইন্ডিগো, ফ্লিপকার্ট, অভি বাস, কোচি মেট্রো এবং অন্যান্য।
গুগল প্লে স্টোরে এখন সহজেই এই গুগল ওয়ালেট পেয়ে যাবেন অ্যান্ড্রোয়েড ব্যবহারকারীরা। এবার থেকে আর কোনও কিছুর টিকিট কাটা নিয়ে আপনাকে আর চিন্তা করতে হবে না। এই গুগল ওয়ালেটের মাধ্যমে আপনি মুভি এবং ইভেন্টের টিকিটগুলি গুগল ওয়ালেটে সেভ করতে পারেন। PVR, INOX-এর টিকিট সেভ করতে কোনও অসুবিধা হবে না আর আপনার। এই ফিচার থেকে ব্যবহারকারীরা অনেক উপকৃত হবেন। আপনি যদি ভ্রমণ করতে পছন্দ করে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য রয়েছে সোনায় সোহাগা খবর। এই অ্যাপে অনেক বোর্ডিং পাসের অ্যাক্সেস পাবেন। এয়ার ইন্ডিয়া, থেকে শুরু করে মেক মাই ট্রিপ, ইজি মাই ট্রিপ, ইক্সিগো-র বোর্ডিং পাস পেয়ে যাবেন।
এই অ্যাপে Google Pixel ব্যবহারকারীরাও বেশি সুবিধা পাবেন। তিনি তার ডিভাইসে স্ক্রিনশট নিলেই গুগল ওয়ালেটে বোর্ডিং পাস সেভ করতে পারবেন। ব্যবহারকারীরা গুগল ওয়ালেটের মাধ্যমে লয়্যালটি এবং গিফট কার্ডের সুবিধাও নিতে পারবেন। এর মধ্যে ফ্লিপকার্ট এবং ডমিনোজের মতো নাম রয়েছে। গুগল ওয়ালেট অ্যাপ পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াত আপনার আরও অনেক সহজ করে তুলবে। এই অ্যাপের সাহায্যে আপনি সহজেই কোচি মেট্রো, হায়দরাবাদ মেট্রো, অভি বাস ইত্যাদি থেকে টিকিট সেভ করতে পারবেন।
এছাড়া এই Google Wallet-এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই তাদের ফিজিক্যাল ডকুমেন্ট ডিজিটালি সংরক্ষণ করতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে বোর্ডিং পাস, ব্যাগেজ ট্যাগ, পার্কিং রসিদ, বারকোড এবং কিউআর কোড ইত্যাদি।