বিভিন্ন ব্যাঙ্কের পাশাপাশি পোস্ট অফিসগুলিও সাধারণ মানুষের সুবিধা করতে বেশ কিছু প্রকল্প চালায়। আর এই স্কিমগুলিতে টাকা বিনিয়োগ করে মানুষ নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে উদ্যত হয়। অনেকেই আছেন যারা ব্যাঙ্কে টাকা রাখেন, কিন্তু আবার অনেকেই আছেন যারা পোস্ট অফিসের স্কিমগুলিতে বিনিয়োগ করেন ভালো রিটার্নের আশায়।
আপনিও পোস্ট অফিসের কোনও স্কিমে আগামী দিনে বিনিয়োগ করার কথা ভাবনাচিন্তা করছেন? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য। পোস্ট অফিসের এমন অনেক স্কিম রয়েছে যেখানে আপনি টাকা রাখলেই কয়েক বছর পর সেটি দ্বিগুণ হয়ে আপনার কাছে ফিরে আসবে। পোস্ট অফিসের এমন অনেক স্কিম রয়েছে যেগুলিতে আপনি ৭.৭ থেকে ৮.২ শতাংশ অবধি সুদ পেয়ে যাবেন বৈকি। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন একদম।
আজ প্রথমেই আলোচনা হবে সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম নিয়ে। নাম শুনেই বুঝতে পারছেন, এটি মূলত বয়স্কদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তৈরি করা হয়েছে। এই স্কিমে আপনি ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ লক্ষ টাকা অবধি বিনিয়োগ করার সুযোগ পাবেন। সুদ হিসেবে প্রবীণ নাগরিকরা পেয়ে যাবেন ৮.২ শতাংশ। এই স্কিমে আপনি ৫ বছরের মেয়াদ অবধি বিনিয়োগ করতে পারবেন।
এবার আসা যাক কিষাণ বিকাশ পত্র প্রসঙ্গে। এই স্কিমে আপনি মাত্র ১০০০ টাকা বিনিয়োগ শুরু করতে পারবেন। আপনি যদি এই স্কিলে ৯ বছর ৭ মাস অবধি বিনিয়োগ করেন তাহলে আপনার কাছে টাকা দ্বিগুণ হয়ে ফেরত আসবে। বিনিয়োগকারীরা এই স্কিমে ৭.৫ শতাংশ অবধি সুদ পেয়ে যাবেন।
পোস্ট অফিসের বাজার কাঁপানো একটি স্কিম হল পিপিএফ বা পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড। এই স্কিমে বার্ষিক সুদের হার ৭.১। বিনিয়োগের মেয়াদ ১৫ বছর। আপনার যদি ১৮ বছর বয়স হয় তাহলেও আপনি এই স্কিমে অ্যাকাউন্ট খুলতে সক্ষম হবেন। এরপরে যে স্কিমটি নিয়ে আলোচনা হবে সেটির নাম হল ন্যাশনাল সেভিংস টাইম ডিপোজিট। এটিতে আবার আপনি কতদিন স্কিমটি চালাবেন অর্থাৎ মেয়াদ কতদিন হবে তার ওপর নির্ভর করে সুদ। যেমন ধরুন ১ বছরের জন্য বিনিয়োগকারীরা ৬.৯, ২ বছরের জন্য ৭ শতাংশ, ৩ বছরের জন্য ৭.১ শতাংশ এবং ৫ বছরের জন্য ৭.৫ শতাংশ সুদ পেয়ে যাবেন। ৬ মাসের আগে এর থেকে আপনি টাকা তুলতে পারবেন না কিন্তু।
এবার কথা হবে ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট স্কিম নিয়ে। এতে আপনি বিনিয়গ করলে বার্ষিক সুদ ৭.৭ শতাংশ হিসেবে পেয়ে যাবেন।এই স্কিমে আপনি ১০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ লক্ষ টাকা অবধি বিনিয়োগ করার সুযোগ পাবেন।