রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে যে সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে তা খুঁজে বের করতে পদক্ষেপ নিয়েই চলেছে ইডি। ইতিমধ্যে এই দুর্নীতিকাণ্ডে একের পর এক নয়া মোড় এসেছে। সেইসঙ্গে ইডির একের পর সাঁড়াশি আক্রমণের জেরে জেরবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তবে এবার এই দুর্নীতিকাণ্ডেই হাইকোর্টে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
মূলত এই রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে রাজ্যের এই রিপোর্টে কী আছে? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর। ইতিমধ্যে রেশন দুর্নীতির একেবারে মূলে পোঁছাতে বিগত কয়েক মাস ধরে তদন্ত করেই চলেছে। আর তদন্তে শাসক দলের মন্ত্রী থেকে শুরু করে বহু ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটাররা ইডির র্যাডারে এসেছে। তবে এবার রাজ্যের এক পদক্ষেপে সকলে চমকে গিয়েছে।
সম্প্রতি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দুর্নীতিকাণ্ডে কোন কোন থানায়, মোট কতগুলি এফআইআর দায়ের হয়েছে সেটার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা আদালতে জমা দেওয়ার কথা বলে। কারণ এই রিপোর্ট হাতে পেলেই কিছুটা হলেও দুধ কা দুধ আর পানি কা পানি হয়ে যেত। এই ঘটনায় সকলকে অবাক করে এবং ইডির দাবিকে মান্যতা দিয়েরেশন দুর্নীতি নিয়ে হাই কোর্টে রিপোর্ট জমা দিল মমতা সরকার। রাজ্যের এই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, দুর্নীতিকাণ্ডে বাংলার নানান থানায় মোট ৮৭টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ৬৫টি মামলায় ইতিমধ্যেই চার্জশিট দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ২০টি মামলা নিয়ে তদন্ত চলছে এবং ২টি মামলা রাজ্যের তরফ থেকে ত্রুটিপূর্ণ বলা হয়েছে।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে এর আগে ৬টি মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। বলা হয়েছিল, ওই মামলাগুলির তদন্ত করতে পারবে না রাজ্য পুলিশ। সেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ আগামী ২৪ জুন অবধি বহাল রাখা হয়েছে। যাইহোক, এই ঘটনায় ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ম্যারাথন তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিক।