কলকাতাঃ আপনিও কি সরকারি কর্মচারী? তাহলে আপনার জন্য রইল বড় খবর। এবার গ্র্যাচুয়েটি নিয়ে বড়সড় রায় দিল হাইকোর্ট। আর হাইকোর্টের একটা রায়ের জেরে অস্বস্তি বাড়ল রাজ্য সরকারের। আদালত সাফ সাফ জানিয়ে দিল, একজন সরকারি কর্মীর কর্মজীবনের ভিত্তিতে গ্র্যাচুইটি দিতে হবে সরকারকেই। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
এমনিতে সরকারি চাকরি পাওয়া মুখের কথা নয়। আর সেটা পেলেও টিকিয়ে রাখাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। একটা ভুল সিদ্ধান্ত যে কোনও সরকারি চাকুরীজীবীর জীবনে বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। এবার আসা যাক মূল কথায়। আসলে এলাহাবাদ হাইকোর্টের একটা রায়ে জোরদার ধাক্কা খায় সরকার। দীর্ঘ চলা একটি মামলার ক্ষেত্রে এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দিয়েছে যে কোনও সরকারি কর্মচারীকে গ্র্যাচুইটি দেওয়া হবে চাকরির বছরগুলির ভিত্তিতে, তিনি যে বয়সে অবসর গ্রহণ করেছেন তার ভিত্তিতে নয়।
গ্র্যাচুইটি নিয়ে বড় রায় হাইকোর্টের
বিচারপতি জে জে মুনির বলেন, ৬০ বছর বয়সে অবসর নেওয়া কোনও কর্মীকে গ্র্যাচুইটি পাওয়ার অধিকার দেওয়ার অধিকার নয়, যা তাঁর নেই। কর্মচারী কত বছর চাকরি করেছেন সে অনুযায়ী গ্র্যাচুইটির অধিকার পান। আসলে আবেদনকারী একটি সাহায্যপ্রাপ্ত ইন্টারমিডিয়েট ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ছিলেন। তিনি ৫৭ বছর বয়সে ভিআরএস বেছে নেন। এরপর ২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের সরকারি আদেশ অনুযায়ী, যাঁরা কমপক্ষে ১০ বছর কাজ করেছেন এবং ৬০ বছর বয়সে অবসর নিয়েছেন, তাঁরাই গ্র্যাচুইটি পাবেন।
আরও পড়ুনঃ সময়ের আগেই ঢুকছে বর্ষা, দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ তুমুল বৃষ্টির আশঙ্কা: আজকের আবহাওয়া
যদিও এ বিষয়ে পাল্টা আদালত বলে, গ্র্যাচুইটি নির্ধারিত হয় চাকরির মেয়াদ দিয়ে। এর ভিত্তিতে আদালত আবেদনকারীকে গ্র্যাচুইটি দেওয়ার নির্দেশ দেন। যার ভিত্তিতে জেলা সংখ্যালঘু কল্যাণ আধিকারিকের পক্ষে একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল, যা আদালত খারিজ করে দেয়। আদালত সাফ সাফ বলেছে যে, যেখানে ৬০ বছরের পরিবর্তে ৬২ বছর বয়সে অবসর নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তার অর্থ এই নয় যে এটি গ্র্যাচুইটি পাওয়ার অধিকার হারিয়ে ফেলেছেন।