বাংলায় বিজেপির ভবিষ্যৎ কী? তা নিয়ে ফের একবার বড় মন্তব্য করতে শোনা গেল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে। বর্তমানে দেশজুড়ে লোকসভা ভোটের আবহাওয়া বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে জায়গায় জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্য দিয়ে চার দফার ভোট সম্পন্ন হয়েছে। এখন পঞ্চম দফার জন্য সকলের কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে।
একদিকে যখন কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে তখন বাংলায় বিজেপির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বড় দাবি করতে দেখা গেল ভোটকুশলীকে। ২০১৯ সালের পরে ২০২৪ সালে কি আরও বেশি অরে পদ্ম ফূতবে বাংলায়? এই নিয়ে সরাসরি জবাব দিলেন পিকে। যা শুনে শাসক দল কিছুটা হলেও ধাক্কা খেতে পারে। এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে পিকে কী এমন বলেছে? তাহলে বিশদে জানতে পড়ে ফেলুন এই লেখাটি।
সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পিকে। আর সেখানেই আসল বোমা ফাটিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, চলতি লোকসভা ভোটে বিজেপি রাজ্যে একক বৃহত্তম দল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে। বাড়বে ভোট। শুধু বাংলাতেই নয়, যে যে রাজ্যে আগে হয়তো কেউ ভাবতে পারেনি সেখানে বিজেপির আসন বাড়বে। আর এই রাজ্যগুলি হল ওড়িশা, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ। এই রাজ্যগুলিতে বিজেপির ভোট বাড়বে বলে দাবি করে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর।
পিকে জানিয়েছেন, এবার পশ্চিমবঙ্গে চমকপ্রদ ফলাফল করবে বিজেপি।’ তবে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়েছেন ভোটকুশলী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে গেরুয়া শিবিরের নেতা মন্ত্রীরা যেখানে বলছেন যে বিজেপি ৪০০-রও বেশি আসন পেরোবে, সেখানে পিকে অন্য কথাই বলছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘গত কয়েক মাস ধরেই আমি বলে আসছে, যারা মনে করেন বিহারে কোনও বিরোধী নেই, সব মোদী ম্যাজিক, সেটা নয়।
শুধুমাত্র মোদীর নামে কোনও দল ৪০০ আসনে জয়ী হতে পারে না। এটা সম্ভব নয়। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে এমন কিছু নেই যাতে সারপ্রাইজিং।’তিনি বলেন, ‘সকল সমালোচনা এবং বিতর্ক সত্ত্বেও পশ্চিম এবং উত্তর ভারতে বিজেপির আসন সংখ্যা কমার কোনও সম্ভাবনা আমি দেখতে পাচ্ছি না। পূর্ব এবং দক্ষিণের রাজ্যগুলিতেও বিজেপির ভোটের হার এবং আসন সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।’