১২০ টাকার লটারির টিকিট যা করবে ভাবতে পারেননি দরিদ্র রাজমিস্ত্রী! মালদায় তুমুল হৈচৈ

Published on:

Dear Lottery

মালদা: কার ভাগ্য কখন বদলে যায় সেটার গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে না। ভাগ্য আর লটারি যেন একে অপরের পরিপূরক। কপাল থাকলে একবারের প্রচেষ্টাতেই লটারি কেটে মানুষ অনেক টাকা পেয়ে যেতে পারেন। কিন্তু কপাল যদি বলি না হয় তাহলে মাসের পর মাস বছরের পর বছর ধরে লটারি কেটেও সাফল্য মেলে না। তবে বাংলার এক রাজমিস্ত্রির জীবন যে মাত্র ১২০ টাকা আমূল বদলে দেবে তা হয়তো কেউ ভাবতেও পারেননি।

WhatsApp Community Join Now

লটারি জিনিসটা এমনই যা একজন মানুষকে রাতারাতি রাস্তার ভিখারি থেকে লাখপতি, কোটিপতি বানিয়ে দিতে পারে, আবার এই লটারির নেশা ভালো ভালো মানুষকে রাস্তায় নামিয়ে আনতে পারে। অনেকের লটারি কাটার নেশা থাকে। অনেকেই আছেন যারা ভাগ্য ফেরানোর আশায় প্রতিদিন লটারি কেনেন। ইংরেজবাজারের পেশায় রাজমিস্ত্রি নিমাই মিস্ত্রিরও এই নেশা ছিল। মালদার ইংলিশ বাজার ব্লকের ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তাঁতিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনিই কিনা ডিয়ার লটারিতে টিকিট কেটে এবার কোটিপতি হয়ে গেলেন। কী শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই একদম দিনের আলোর মতো সত্যি।

এই নিমাইবাবুর বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী ও তিন সন্তান। সংসারে অভাব, অনটন তো একদম নিত্যসঙ্গী। প্রতিদিন সংসার ঠেলতে গিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করতেন। কিন্তু সেই যে একটা কথায় আছে না, কুঁজোরও চিত হয়ে শোয়ার ইচ্ছা হয়, এক্ষেত্রেও বিষয়টি তাই হল। আর পাঁচটা গরিব ঘরের মানুষের মতো ভাগ্য বদলানোর আশায় তিনিও ১২০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কাটেন। এদিকে ফলাফল বেরোতেই চক্ষু চড়কগাছ সকলের। জানতে পারেন তিনি প্রথম পুরষ্কার হিসেবে জিতে নিয়েছেন কোটি টাকা।

আরও পড়ুনঃ রেশন কার্ডে এবার ডবল ডবল সামগ্রী, মহিলাদের জন্যও বড় ঘোষণা! কবে থেকে পাবেন?

এদিকে এত টাকা পেয়ে একপ্রকার দিশেহারা অবস্থা নিমাই সরকারের। কিছু বুঝতে না পেরে লটারির টিকিট নিয়ে সটান হাজির হন মিল্কি ফাঁড়িতে। জানিয়েছেন, নিজে একজন রাজমিস্ত্রি হয়েও তার আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে নিজে একটি ভালো বাড়ি তৈরি করতে পারেননি। তবে এবার এই টাকা নিয়ে নিজের মাথার ওপর ভালো করে একটা ছাদ তৈরি করবেন।

সঙ্গে থাকুন ➥
X