দেশজুড়ে এখন লোকসভা ভোট চলছে। আর এই ভোটের মাঝেই সরকারি কর্মচারীদের জন্য রইল বিরাট বড় খবর। আপনিও কি সরকারি কর্মী? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য। সুপ্রিম কোর্ট এমন এক রায় দিয়েছে যা শুনে আপনার মাথাতেও হয়তো চিন্তার বাজ ভেঙে পড়তে পারে।
ব্যাপার কী?
আপনিও যদি ব্যাঙ্কের কর্মচারী হয়ে থাকেন তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য। এটা তো সকলেই জানেন যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অর্থাৎ পিএসইউ ব্যাঙ্ক কর্মীরা নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অনেক ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকেন। যার মধ্যে অন্যতম হল শূন্য সুদে ঋণ নেওয়া। মূলত ব্যাঙ্ককর্মী নিজের সংস্থার থেকে বাজার চলতি কোনও সুদ থেকে থেকে কম সুদের হারে ঋণ পেয়ে থাকেন। এবার সেই সুদের হারে যে ব্যবধান থাকে, তার ওপরে আয়কর দিতে হয় সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা ব্যাঙ্ক কর্মীকে। আর এই নিয়েই সম্প্রতি একটি মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে।
জোরদার ঝটকা খেলেন ব্যাঙ্ক কর্মীরা
আয়কর মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসারস কনফেডারেশন। তবে এই রায় মোটেও ব্যাঙ্ক কর্মীদের পক্ষে যায় না। বলা ভালো সুপ্রিম রায়ে জোরদার ধাক্কা খেয়েছেন সকলে। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ব্যাঙ্ক থেকে সুদমুক্ত বা স্বল্প সুদে ঋণ নিলে কর্মচারীদের যে অর্থ সাশ্রয় হবে তার উপর কর আরোপ করা হবে। অর্থাৎ আয়কর আইনের ১৭(২)(৮) ধারা এবং আয়কর বিধি ও ৩(৭)(আই)-এর বৈধতা বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট।
তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও তার নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাঙ্ক কর্মীদের সুদমুক্ত বা স্বল্প সুদে ঋণের মাধ্যমে সঞ্চিত অর্থের ওপর আয়কর ধার্য করা যায়।
কী বলছে সুপ্রিম কোর্ট?
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি এম এম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ জানিয়েছে, জিএসটি আইনে এমন কোনও সংস্থান নেই যা কর্তৃপক্ষকে বকেয়া পরিশোধের জন্য বলপ্রয়োগের ক্ষমতা দেয়।