ল্যাংড়া থেকে ফজলি কোন আম সবথেকে বেশী সুস্বাদু, কত প্রকারের আম রয়েছে ?

Published on:

different types mango

গ্রীষ্মের মরসুম এখন বিরাজ করছে। আর এই গ্রীষ্মের মরসুমে ফল নিয়ে আলোচনা হবে না তা কি হতে পারে! এই সময়ে আম, জাম, লিচু, তরমুজ সহ আরো কত রকমের ফলে সমাহার দেখা যায় বাজারে। কিন্তু আজ এই প্রতিবেদনে আলোচনা হবে আমকে নিয়ে। আমাকে এমনিতে ফলের রাজা বলা হয়। আম নিয়ে মানুষের ফ্যাশিনেশন কোনওদিন শেষ হবার নয়। এখন বাজারে ছেয়ে গিয়েছে আমে। বিভিন্ন রকম আম এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে আর আম প্রেমীরা খুব আয়েশ করে ডজন ডজন কিনে নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছেন।

WhatsApp Community Join Now

তবে আজ কথা হবে ভারতে কত রকমের এম পাওয়া যায়। জানলে হয়তো চমকে যাবেন আপনিও। দেশের বহু রাজ্যে আমের ফলন করা হয়।

ল্যাংড়া আম- আজ প্রথমেই এই আর্টিকেলে আলোচনা হবে ল্যাংড়া আম নিয়ে। ল্যাংড়া আম যে একবার খাবে সে বারবারই খেতে চাইবে এই আমের স্বাদ আলাদাই লেভেলের। উত্তরপ্রদেশে বারানাসিতে এই আম জুন থেকে জুলাই মাসের মধ্যে পাওয়া যায় সেখান থেকেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এই আমকে পাঠানো হয়। আমের ভেতরটা হলুদ রংয়ের দেখতে হয়।

আলফানসো আম- এবার আলোচনা হবে আলফানসো আম নিয়ে। এই আমকে আমেদের রাজা বলা হয়। এই বিশেষ ধরনের আমটি পাওয়া যায় মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরি নামের জায়গায়। এপ্রিল থেকে শুরু করে জুন মাস অবধি এই বিশেষ আম বাজারে বিক্রি হতে দেখা যায়। এই আমের ভেতরটা এবং বাইরেটা হলুদ রঙের হয়ে থাকে।

কেশর আম- এই কেশর আমকে দেখতে যেমন সুন্দর তেমনই এর স্বাদও খুব সুস্বাদু। এই আম বাজারে হোক বা বাড়ি, আনলেই সর্বত্র গন্ধে ম ম করবে। এই আমটির বাইরেটা একদম বেগুনি রঙের হয়। এই বিশেষ ধরনের আমটির ফলন হয় গুজরাটের সৌরাষ্ট্রে।

দশহরী আম- এবার আলোচনা হবে দশহরী আম নিয়ে। এই আমটি উত্তর প্রদেশের মানুষের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। এই আমের ফলন উত্তরপ্রদেশের মাহিলাবাদে হয়। মে থেকে জুন, এই সময়টার মধ্যে আমটি পাওয়া যায়।

তোতাপুরী আম- এই আমটি অন্যান্য আমের থেকে একটু লম্বাটে ধরনের হয়ে থাকে। এর খোসার রং হয় বেগুনি। এই আমের ফলন মূলত দক্ষিণী দুই রাজ্য যেমন অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্নাটকে হয়ে থাকে। মে থেকে জুলাই মাসের মধ্যে এই আমের ফলন দেখতে পাওয়া যায়। এর স্বাদ কিছুটা টক আবার কিছুটা মিষ্টি ধরনের হয়ে থাকে।

সুন্দরী আম: পশ্চিমবঙ্গের এই আমটি দেখতে সুন্দর এবং স্বাদেও এক কথায় চমৎকার। এই আমটি মালদায় পাওয়া যায়। এটি মে থেকে জুন পর্যন্ত পাওয়া যায়। এর বাইরেটা সোনালি হলুদ রঙের হয়, রসালো এবং মিষ্টিতে পূর্ণ।

চৌসা আম- আজ কথা হবে চৌসা আম নিয়ে। বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে এই আমের ফলন বেশি হয়। জুলাই থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে এই আমের ফলন হয়ে থাকে। আমের ভেতরটা হলুদ রঙের হয়ে থাকে।

বেগুনপল্লী আম- নামটা শুনে চমকে গেলেন তো? হ্যাঁ এটা একটা আমেরই নাম বটে। এই আমটিকে দেখতে যেমন সুন্দর ঠিক তেমনই স্বাদেও অভিন্ন। এই আমটি একমাত্র অন্ধ্রপ্রদেশে পাওয়া যায়। এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে এই আম পাওয়া যায়।

নীলম আম- না বলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রীকে নিয়ে কথা হচ্ছে না কিন্তু, আজ কথা হচ্ছে নীলম আমকে নিয়ে। এই আমের জনপ্রিয়তা দক্ষিণ ভারতে সবথেকে বেশি। অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ুতে জুন থেকে জুলাই মাসের মধ্যে এই আমের দেখা মেলে। এর স্বাদ খুবই মিষ্টি হয়।

মালগোয়া আম: দক্ষিণ ভারতের এই আমটি তার বিশাল আকার এবং স্বাদের জন্য দেশজুড়ে পরিচিত। এটি তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটকে মে থেকে জুলাই পর্যন্ত পাওয়া যায়। এর গায়ের রং হলুদ, ঘন এবং খুব রসালো হয়।

ফজলি আম- এই আমটির আকার বেশ অনেকটাই হয়। বাজার চলতি অন্যান্য আমের থেকে এর আকার বেশ অনেকটাই হয়। এটি পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহারে জুলাই থেকে আগস্টের মধ্যে পাওয়া যায়। এর চামড়া হালকা সবুজ রঙের হয় এবং খেতে অত্যন্ত মিষ্টি।

সঙ্গে থাকুন ➥
X