কলকাতাঃ প্রায় ২৬,০০০ শিক্ষক, শিক্ষা কর্মীর চাকরি বাতিলের ঘটনা নিয়ে সরগরম হয়ে রয়েছে বাংলা। বর্তমানে এই মামলা কলকাতা হাইকোর্টের গণ্ডি ছাড়িয়ে সুপ্রিম কোর্টের দরবারে রয়েছে। আগামী জুলাই মাসে রয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিকে বাংলার স্কুল শিক্ষকদের টিউশনি পড়ানো নিয়ে বারবারই কড়া মনোভাব দেখিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট এবার এমন সিদ্ধান্ত নিল যারপরে সকলের চোখ ছানাবড়া হয়ে যেতে পারে বৈকি। মহা ফাঁপরে পরতে পারেন বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা যারা টিউশনি পড়ান।
ব্যাপার কী?
বছর খানেক আগেই শয়ে শয়ে শিক্ষকের নামে নোটিশ জারি হয়। সেইসময়ে নবান্নের তরফে জানানো হয়ে, কোনওভাবেই বাংলার স্কুল টিচাররা প্রাইভেট টিউশন পড়াতে পারবেন না। ২০২১ সালে ‘গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর দাস হাইকোর্টে মামলা করেন। এরপর এই মামলার রায় দেওয়া হয় ২০২৩-এর ১ মে। মামলার শুনানির পরে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ওই শিক্ষকদের টিউশন বন্ধের জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে তিন মাসের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে হবে। কোন কোন স্কুলের শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশন করছেন না সে ব্যাপারে সকলের কাছ থেকে মুচলেকা নিতে হবে। সমিতির অভিযোগ, শিক্ষকরা মুচলেকা দেওয়ার পরেও ফের টিউশন করছেন। আর এই নিয়ে মে মাসের পর ওই একই বছরের ডিসেম্বর মাসে পুনরায় মামলা করেন দীপঙ্কর দাস।
এবার কড়া দাওয়াই হাইকোর্টের
এবার এই বিষয় নিয়ে ফের একবার বড় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের রায়ের জেরে বাঘা বাঘা লোকের রাতের ঘুম উড়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্যাপারটি প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। এরপরে কলকাতা হাইকোর্ট আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং জেলা স্কুল পরিদর্শককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যে কয়েকটি জেলার স্কুল পরিদশর্করা রিপোর্ট দিয়েছেন, তাতে কোথাও প্রাইভেট টিউশন করেন, এমন কোনও স্কুল শিক্ষকের ব্যাপারে কোনও তথ্য নেই।’