চাষবাস হোক কিংবা ব্যবসা, বাজারে যে জিনিসটির প্রচুর চাহিদা থাকে সেটিই সকলের জন্য লাভজনক হয়ে উঠতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে আপনিও কি কিছু চাষ করার কথা ভাবছেন? তাহলে আপনার জন্য রইল এক দারুণ আইডিয়া। কম টাকা খরচ করে বেশি বেশি টাকা যদি উপার্জন করতে চান তাহলে করতে পারেন হলুদ চাষ। এই চাষ করলে ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।
এমন কোনও ভারতীয় বাড়ির হেঁশেল হয়তো বাকি নেই যেখানে হলুদ থাকে না। হলুদের গুণাগুণের শেষ নেই। আপনি যদি হলুদ চাষের ব্যবসা করেন তাহলে বেশি লাভ করতে পারবেন। এই হলুদে প্রচুর ঔষধি গুণ রয়েছে, তাই হলুদ চাষ করলে বাম্পার লাভ হবে।
হলুদ চাষ
হলুদ চাষের বিষয়ে হাজারিবাগের গোরিয়া কর্মায় অবস্থিত আইসিআরের কৃষি বিজ্ঞানী ডঃ আর কে সিং বড় মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘হলুদের উপযোগিতার বিবেচনায় হলুদ ফসল খুবই ভালো। যার কারণে সারা দেশের কৃষকরা এটি চাষ করেন। কৃষকরা গাছের নিচে ছায়াযুক্ত জমিতেও এটি চাষ করতে পারবেন।’ এই হলুদ চাষ যে কারোর ভাগ্য বদলে দিতে পারে।
চাষের পদ্ধতি
হলুদ মূলত গরম এবং আর্দ্র জলবায়ুর একটি উদ্ভিদ। রাইজোমের সঠিক বিকাশের জন্য, ১৫০০ থেকে ২২৫০ মিমি বৃষ্টিপাত এবং ২০-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন। দোআঁশ মাটি, ল্যাটেরাইট মাটি হলুদ চাষের জন্য একদম আদর্শ। চাষের আগে, একটি লাঙ্গল দিয়ে মাটি চাষ করা এবং এটি ভালভাবে ভঙ্গুর করা প্রয়োজন।হলুদ ৮ থেকে ৯ মাসের ফসল। এটি চাষ করার জন্য, কৃষকদের প্রথমে এমন জমি বেছে নিতে হবে যেখানে মাটি ভারী। মে থেকে জুলাই, এই সময়ের মধ্যে কৃষকরা হলুদ চাষ শুরু করতে পারেন।
চাষ করার আগে জমির পিএইচ ভ্যালু মেপে নিতে ভুলবেন না। ১ একর বপনে ৫ থেকে ৬ কুইন্টাল হলুদ পাওয়া যায় হবে। কপাল ভালো থাকলে ১০০ থেকে ১২০ কুইন্টাল ফলনও পেতে পারেন।হলুদ বপনের জন্য, কৃষকদের সারিবদ্ধভাবে একটি বাঁধ তৈরি করতে হবে, যাতে ১টি সীমানা থেকে অন্য সীমানার দূরত্ব ১ ফুট হয়। একই সঙ্গে এক গাছ থেকে আরেক গাছের দূরত্ব আধা ফুট হতে হবে।