এবার রাজ্য সরকারের নখদর্পণে চলে আসবে সমগ্র কলকাতা শহর। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। রাজ্য সরকার এমন এক কাজ করতে চলেছে যেটি সম্পর্কে হয়তো কেউ ভাবতেও পারেনি আগে। মূলত শহরে কোনোরকম খারাপ কাজ না ঘটে তার জন্য দুর্গাপুজোর আগেই ব্যাপক ব্যবস্থা করতে চলেছে সরকার। এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে সরকার কী এমন করবে? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
৫০০০-রও বেশি সিসিটিভি বসছে
এবার শহরে এক ধাক্কায় আরও ৫৫০০টি সিসিটিভি লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে সরকার। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। মূলত দুর্গাপুজোর আগেই এই কাজ সেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনেকেই হয়তো জানেন না যে নির্ভয়া প্রকল্পের অধীনে রাজ্য সরকার হাজার হাজার সিসিটিভি বসিয়েছে সরকার। কোনওরকম খারাপ কাজ যাতে না ঘটে এবং বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নজরদারি চালাতে রাজ্য ও পুলিশের উদ্যোগে জায়গায় জায়গায় সিসিটিভি বসানো হচ্ছে।
লালবাজারকে বিশেষ নির্দেশ
দ্বিতীয় দফায় এবার ৫৫০০টি সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লালবাজারকে। ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে ওয়ার্ক অর্ডার। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দ্রুত এই কাজ শুরু হবে। স্কুল, কলেজের মেয়েদের সুরক্ষা যাতে কোনওরকমভাবে কম্প্রোমাইজ না হয় সেদিকে নজর রেখে সিসিটিভি বসানো হচ্ছে সরকারের তরফে।
এর আগেও প্রথম দফায় সিসিটিভি বসানো হয়েছে স্কুল কলেজগুলির আশেপাশে। তখন ২৫৬ টি স্কুল–কলেজে ১২০০টিরও বেশি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। পুলিশের দাবি অনুযায়ী, প্রথম দফায় সিসিটিভি বসানোর জন্য শহরে ৬০০ কিলোমিটার নিজস্ব অপটিক ফাইবার কেবল বসানো হয়েছিল। আর এর জন্য ৩২ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। তবে এবার দ্বিতীয় দফায় এই কাজ করতে আনুমানিক খরচ হবে ৩৯ কোটি টাকা মতো।
কোথায় কোথায় বসবে সিসিটিভি
এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এত হাজার হাজার সিসিটিভিগুলি কোথায় বসানো হবে? তাহলে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ধর্মীয় স্থান, স্কুল, কলেজ প্রকৃতি গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে সিসিটিভি বসানো হবে। কলকাতা, ভাঙরের মতো বিভিন্ন জায়গায় বসানো হবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাগুলোকে। এই নিয়ে ইতিমধ্যে একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে লালবাজার।