মাংস দিয়ে ভাত না খেলে অনেকেরই চলে না। অনেকের হেঁশেলেই প্রত্যেকদিন মুরগির মাংস রান্না হয়। কিন্তু এখন মানুষ এই মুরগির নাম শুনলেই ভয়ে রীতিমতো সিটিয়ে যাচ্ছেন। কারণ ফের একবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠল বার্ড ফ্লু আতঙ্ক। শুধু তাই নয়, এবার সাধারণ মানুষের শরীরেও মিলেছে H9N2 ভাইরাসের স্ট্রেন। কী শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই একদম দিনের আলোর মতো সত্যি।
এদিকে বার্ড ফ্লু-এর আতঙ্ক মানুষের মধ্যে এতটাই ছড়িয়ে পরেছে বেশিরভাগ মানুষ মাছ কিনতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে গ্রাহকের অভাবে মাংসের দোকানগুলিতে মাছি তাড়াচ্ছেন দোকানদাররা।
মুরগির মাংস খাওয়া আর নিরাপদ?
বার্ড ফ্লু-এর আতঙ্কের মাঝে আবার অনেকেই আছেন যারা চিকেন খাচ্ছেন। আবার অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যে এইরকম অবস্থায় চিকেন খাওয়াটা কতটা নিরাপদ। এই বিষয়ে এবার বড় তথ্য দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। বাংলার এখন বিভিন্ন জেলায় বার্ড ফ্লু-এর আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জানা যাচ্ছে, মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা এক চার বছরের শিশুর শরীরের মিলেছে H9N2 ভাইরাসের স্ট্রেন। তবে চিকিৎসকদের মতামত, এতে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। এমনকি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে স্বাস্থ্য দফতরের একটি বিশেষ দল মালদায় যান।
রাজ্যের স্বাস্থ্য সবিচ নায়ারণস্বরূপ নিগম সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন যে, ‘কড়া নজরদারি চাললানো হলেও হাস, মুরগির মধ্যেই বার্ড ফ্লু ভাইরাস ধরা পড়েনি। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’ এছাড়া সকলেই নির্ভয়ে ডিম, হাঁস-মুরগির মাংস খেতে পারেন।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে
বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই মালদা জেলার কালিয়াচকের প্রায় ২৯,০০০ পাখির স্ক্রিনিং করেছে এবং জেলা কর্মকর্তারা আরও পাখি পরীক্ষা করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন। উল্লেখ্য, জেলার চার বছরের একটি মেয়ের জানুয়ারি মাসে এই রোগ ধরা পড়ে এবং চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠে। সেই ঘটনার পর ফের বাংলায় বার্ড ফ্লু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং তাই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।