যত সময় এগোচ্ছে দেশের বড় বড় শহরে হুকা বারের রমরমা বেড়েই চলেছে। কলকাতাও কিন্তু এই তালিকা থেকে বাদ যায়নি। পার্ক স্ট্রিট থেকে শুরু করে সাউদার্ন এভিনিউ, কালিকাপুর সহ বহু জায়গায় হুকা বারের রমরমা বাড়ছে। যদিও তা বন্ধ করতে তৎপর কলকাতা পুরসভা। কিন্তু এবার কলকাতা হাইকোর্টের একটা রায়ের জেরে রীতিমতো ধাক্কা খেলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। জানেন কী হয়েছে? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর।
বড় রায় কলকাতা হাইকোর্টের
সম্প্রতি মেয়র ফিরহাদ হাকিম কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন যে কলকাতা শহরে কোনওরকম হুক্কা বার চলবে না। বিভিন্ন রেস্তোরাঁর রুফটপে হুক্কা বার চালানো নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। এদিকে মেয়রের এহেন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হুক্কা বারের মালিকরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এদিকে হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, হুক্কা বার চালানো যাবে।
মুখ পুড়ল ফিরহাদ হাকিমের
হুক্কা বার চালানো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় শুনে অস্বস্তিতে পড়েছেন ফিরহাদ হাকিম। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকেই বহাল রেখেছেন। অর্থাৎ কলকাতা ও বিধাননগরে হুক্কা বার বন্ধ করা নিয়ে রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা পুরসভার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার প্রধান বিচারপতি শিবগনাম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম কটাক্ষ করে বলেন, “হুক্কা বারের থেকে অক্সিজেন বার খুলুন।”
ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য
কলকাতা হাইকোর্টের রায় নিয়ে বড় মন্তব্য করেছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “রুফটপে যে সব রেস্তরাঁ তৈরি হচ্ছে, তা তো সবই হুক্কা বার। ছেলেপিলেরা নেশা করছে। কিন্তু হাই কোর্ট বলে দিয়েছে। আমরা সবাই বিশ্বাস করি, হুক্কা বারে যাওয়াটা অন্যায়। কিন্তু কোর্টে চলে গেল, কোর্ট থেকে অনুমতি নিয়ে নিল। আমি অনুমতি দিইনি। কিন্তু তারা অনুমতি পেয়ে গিয়েছে। আমি বন্ধ করলে তারা কোর্টে গিয়ে আমাকে থাপ্পড় খাওয়াবে। মানুষের বিচার কী বলছে, তা আদালত দেখবে না। আইন কী বলছে, আদালত তা-ই দেখবে।”