মাথায় হাত রাজ্য সরকারের, সরকারি কর্মীদের ৬ শতাংশ সুদে ফেরত দিতে হবে টাকা

Published on:

mamata-hc

বিতর্ক আর পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখন যেন একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠেছে। এবারও কিন্তু তার ব্যতিক্রম ঘটল না। পুরনো এক মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের এক রায়ে মাথায় হাত পড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। এমনিতে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি থেকে শুরু করে ডিএ নিয়ে প্রতিবাদ, মামলা নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে সরকার, তার ওপর এবার গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো হল কলকাতা হাইকোর্টের এক রায়। বিগত এবার ১২ বছরের টাকা সরকারি কর্মীদের ৬ শতাংশ সুদ সহ ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হল।

বড় রায় আদালতের

এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কোন মামলার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই রায় দিয়েছে? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর। আসলে আজ থেকে ১২ বছর আগে অর্থাৎ ২০১২ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। আর এই বিজ্ঞপ্তিতে সেই সময়ে বলা হয়েছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এবং অন্যজন সরকার পোষিত বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকা হলে, এঁদের মধ্যে কোনও একজনই বাড়ি ভাড়া বাবদ ভাতা পাবেন। যদিও এই মামলা ২০২১ সালে খারিজ করে দেয় আদালত। তবে এত বছর কেটে গেলেও কেউ কোনও টাকা পাননি সরকারি কর্মীরা বলে অভিযোগ।

একের পর এক মামলা দায়ের

এই ঘটনায় বিগত কিছু সময়ে আদালতে বহু মামলা দায়ের হয়েছে। ১৪ জনেরও বেশি মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে। রাজ্যের অর্থ, শিক্ষা সচিব-সহ শীর্ষকর্তাদের একাংশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হয়। যদিও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বারবার আদালতে দ্বারস্থ হন সরকারি কর্মীরা। এরপরেই আরও এক রায়দান করে কলকাতা হাইকোর্ট। যা শুনে সকলেই একপ্রকার থ হয়ে গিয়েছেন। আদালত জানিয়ে দিল। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারি শিক্ষকদের বকেয়া বাড়ি ভাড়া ভাতা মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। সঙ্গে সেই বকেয়া অর্থের ওপর ৬ শতাংশ হারে সুদও প্রদান করতে হবে রাজ্য সরকারকে। হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু আরও জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে এমন হলে জেলা স্কুল পরিদর্শকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে।

সঙ্গে থাকুন ➥
X