কেন্দ্র হোক বা রাজ্য সরকারী কর্মী…সময়ে সময়ে সরকার ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধি করে। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার বছরে দুবার নিজেদের লাখ লাখ কর্মীদের ডিএ বাড়ায়। এখন সকলেই মূলত সপ্তম পে কমিশনের আওতায় ডিএ পান। চলতি বছরের মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় সরকার এক ধাক্কায় ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করে। আর এই ঘোষণার পর সরকারি কর্মীদের বর্তমানে ৫০ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন।
পোয়া বারো কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের
লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রের ডিএ বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের জেরে উপকৃত হয়েছেন লাখ লাখ সরকারি কর্মী থেকে শুরু করে পেনশনররা। এদিকে বাংলার সরকারি কর্মীরাও এখন ১৪ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন। তবে এরই মাঝে উঠল এক নতুন দাবি। আর তা হল অষ্টম পে কমিশনের।
অষ্টম পে কমিশনের দাবি
সরকারি কর্মীদের ডিএ এখন মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হয়ে যাওয়ায় কর্মচারীরা এবার অষ্টম বেতন কমিশনের দাবি জানাচ্ছেন। একাধিক মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হতে পারে অষ্টম বেতন কমিশন। যদিও এই বিষয়ে সরকারের তরফে কোনওরকম পাকাপাকিভাবে বলা হয়নি কিছুই। অনুমান করা হচ্ছে যে অষ্টম বেতন কমিশন কার্যকর হলে কর্মচারীদের মূল বেতন ৩ শতাংশ অবধি বাড়তে পারে। অর্থাৎ, কোনও কর্মীর মূল বেতন যদি ১৮ হাজার টাকা হয়, তাহলে তা ৮ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ২৬ হাজার টাকা হবে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
প্রস্তাব গেল মোদী সরকারের কাছে
লোকসভা ভোট শেষ হতেই এবার অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে মোদী সরকারের কাছে প্রস্তাব দিল অল ইন্ডিয়া রেলওয়েলমেন ফেডারেশন। ভারতীয় রেল কর্মচারীদের বৃহত্তম ট্রেড ইউনিয়ন অল ইন্ডিয়া রেলওয়েমেনস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শিবগোপাল মিশ্র ভারত সরকারের ক্যাবিনেট সচিবকে একটি চিঠি লিখেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও পেনশন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সংশোধনের জন্য অবিলম্বে অষ্টম কেন্দ্রীয় বেতন কমিশন গঠনের দাবি জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম ৮০ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু আমাদের মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ বেড়েছিল মাত্র ৪৬ শতাংশ। এই আবহে মুদ্রাস্ফীতি এবং DA বৃদ্ধির হারে বিস্তর ফারাক রয়ে গিয়েছে। তাই অবিলম্বে অষ্টম বেতন কমিশন গঠন করার দাবি জানানো হচ্ছে।’