প্রশ্নপত্র ফাঁস! এবার চরম পদক্ষেপ নিল সরকার, যা কেও ভাবতে পারেনি 

Published on:

neet-net

একের পর এক পরীক্ষায় কারচুপি, প্রশ্নপত্র ফাঁস থেকে শুরু করে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিকে ঘিরে এক কথায় উত্তাল হয়েছে রয়েছে দেশ। তারওপর এখন আগুনের ওপর ঘি পড়ার মতো কাজ করেছে NEET বিতর্ক ও UGC  NET পরীক্ষা বাতিলের ঘটনা। নেট পরীক্ষা হওয়ার একদিনের মাথায় কারচুপি ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পাওয়ার পরেই সমগ্র পরীক্ষা বাতিল করার দেয় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমগ্র দেশে রীতিমতো বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে।

WhatsApp Community Join Now

তবে এখানেই শেষ নয় কেন্দ্রীয় সরকার আরো এক চরম পদক্ষেপ নিল যা শুনলে আপনারও বুক কেঁপে যেতে পারে। ভবিষ্যতে আর যাতে পরীক্ষায় কারচুপি বা প্রশ্নপত্র ফাঁস না হয় তার জন্য একটি বিশেষ আইন কার্যকর হয়ে গেল দেশে।

চরম পদক্ষেপ কেন্দ্রের

কেন্দ্রের মোদী সরকার এবার শুক্রবার পাবলিক এগজামিনেশন (প্রিভেনশন অব আনফেয়ার মিনস) অ্যাক্ট, ২০২৪ কার্যকর করেছে বলে খবর। আর এই আইনে কী কী মারপ্যাঁচ রয়েছে তা শুনলে আপনারও চোখ ছানাবড়া হয়ে যেতে পারে। চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি লোকসভায় এবং ৯ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভায় পাবলিক এক্সামিনেশন (প্রিভেনশন অফ আনফেয়ার মিনস) অ্যাক্ট পাস হয়। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ১২ ফেব্রুয়ারি বিলে সম্মতি দেন এবং এটিকে আইনে রূপান্তরিত করেন।

Anti Paper Leak Law কী?

আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে Anti Paper Leak Law কী? স্কুল-কলেজের পরীক্ষা থেকে শুরু করে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা, প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নকল করার ঘটনা এখন যেন একদম জলভাতের সমান ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে কড়াকড়ি সত্ত্বেও প্রশ্নপত্র ফাঁস ও প্রতারণার ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে বারবার। এই জাতীয় মামলাগুলি সিস্টেমের জন্য সরাসরি চ্যালেঞ্জ বলে মনে হচ্ছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা বিচলিত হয়, যারা কঠোর পরিশ্রম করে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়। এ অবস্থায় কাগজ ফাঁস বিরোধী আইন অনুসরণ এসব মামলা প্রতিরোধে সহায়ক হবে। এর আওতায় শাস্তি ও জরিমানার বিধানও স্কুল-কলেজের পরীক্ষা থেকে শুরু করে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা, প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নকল করার ঘটনা খুবই সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে কড়াকড়ি সত্ত্বেও প্রশ্নপত্র ফাঁস ও প্রতারণার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এই জাতীয় মামলাগুলি সিস্টেমের জন্য সরাসরি চ্যালেঞ্জ বলে মনে হচ্ছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা বিচলিত হয়, যারা কঠোর পরিশ্রম করে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়। এ অবস্থায় কাগজ ফাঁস বিরোধী আইন অনুসরণ এসব মামলা প্রতিরোধে সহায়ক হবে। এর আওতায় শাস্তি ও জরিমানার বিধান রয়েছে।রয়েছে।

এ আইনে পাবলিক পরীক্ষায় জালিয়াতি রোধে ন্যূনতম ৩ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং পেপার ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িতদের ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ন্যূনতম ১ কোটি টাকার জরিমানার বিধান রয়েছে।

আরো কী কী শাস্তি রয়েছে

পরীক্ষা পরিচালনার জন্য নিযুক্ত পরিষেবা প্রদানকারী দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। যদি পরিষেবা সরবরাহকারী অবৈধ কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকে তবে তার কাছ থেকে পরীক্ষার ব্যয় আদায় করা হবে। এছাড়াও, পরিষেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে ৪ বছরের জন্য কোনও পাবলিক পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব থেকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে।

যদি কোন প্রতিষ্ঠান সংগঠিত অপরাধ সংঘটনের সাথে জড়িত থাকে তবে তার সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং পরীক্ষার আনুপাতিক ব্যয়ও এর কাছ থেকে আদায় করা হবে। সর্বোপরি যদি কোনও পরিষেবা সরবরাহকারী সংস্থার পরিচালক, সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সম্মতি বা যোগসাজশে অপরাধ সংঘটিত হয় তবে তাদের তিন থেকে দশ বছরের কারাদণ্ড এবং এক কোটি টাকা জরিমানা হতে পারে।

সঙ্গে থাকুন ➥
X