কলকাতাঃ বর্তমান সময়ে দেশে এমন কোনও মানুষ নেই যার কাছে স্মার্টফোন নেই। মানুষ এখন স্মার্টফোন ছাড়া একদণ্ড চলতে পারেন না। তবে এবার কেন্দ্রীয় সরকার এমন এক কাজ করতে চলেছে যারপরে ফোনের ব্যবহার আলাদাই মাত্রা পাবে। বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
চলতি মাসেই টেলিকমিউনিকেশন অ্যাক্ট ২০২৩ লাগু হতে চলেছে বলে খবর। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৬ জুন, থেকে দেশে এই আইনের কিছু ধারা কার্যকর হবে। টেলিকম বিল ২০২৩ অনুযায়ী, জরুরি পরিস্থিতিতে দেশের টেলিযোগাযোগ পরিষেবা ও নেটওয়ার্কের দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিতে পারে সরকার। টেলিযোগাযোগ বিল ২০২৩, ২৬ জুন ২০২৪ থেকে কার্যকর হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার শুক্রবার ২৬ জুন থেকে টেলিযোগাযোগ আইন কার্যকর করার আংশিক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এবং জানিয়েছে যে ধারা ১, ২, ১০ এবং ৩০ সহ বিধানগুলি কার্যকর থাকবে।
টেলিযোগাযোগ বিল ২০২৩ কার্যকর হওয়ার পর আইনের ১, ২, ১০ থেকে ৩০, ৪২ থেকে ৪৪, ৪৬, ৪৭, ৫০ থেকে ৫৮, ৬১ ও ৬২ ধারার বিধানও ২৬ জুন থেকে কার্যকর হবে। সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, সুরক্ষা, জনশৃঙ্খলা বা অপরাধ প্রতিরোধের ভিত্তিতে সরকার টেলিকম পরিষেবার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে।
ফোনেও আড়ি পাতবে সরকার?
ইতিমধ্যে বারবার বিরোধীরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ করে আসছে বারবার। এরপর এই আইন বলবৎ হলে এবং নিজের হাতে কেন্দ্র ক্ষমতা তুলে নিলে সত্যিই কি ফোনে আড়ি পাতবে সরকার? এই বিষয়ে এখনও অবধি তেমন কিছু জানা সম্ভব হয়নি। এই নয়া আইন অনুযায়ী, কোনও টেলিকম সংস্থা যদি জরুরি পরিস্থিতিতে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন বা পরিচালনা করতে চায়, পরিষেবা সরবরাহ করতে চায় বা আনুপাতিক সরঞ্জাম রাখতে চায় তবে তাকে সরকারের অনুমোদন নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ স্কুল খুলতেই নোটিশ পৌঁছে গেল সরকারের, কড়া পদক্ষেপ মমতা সরকারের
এই আইনের বিধিগুলি কার্যকর হয়ে গেলে, ইউনিভার্সাল সার্ভিস অবলিগেশন ফান্ড একটি ডিজিটাল ইন্ডিয়া তহবিলে পরিণত হবে, যা গ্রামীণ অঞ্চলে টেলিকম পরিষেবা প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করার পরিবর্তে গবেষণা ও উন্নয়ন এবং পাইলট প্রকল্পগুলিতে অর্থায়নের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। অর্থাৎ আপনার ফোনে জিও, এয়ারটেল, ভোডাফোন যে কোনওরই নেটওয়ার্ক থাকুক না কেন সরকার এবার থেকে সব নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।