নয়া দিল্লিঃ ভারত সরকারের জন্য আরও বড় সুখবর অপেক্ষা করছে। কয়েকদিন আগেই জানা গিয়েছিল যে সুদূর ব্রিটেন থেকে এক ধাক্কায় ১০০ টন সোনা ফিরিয়ে আনছে। হ্যাঁ শুনতে অবাক লাগলেও এটাই একদম সত্যি। তবে এর থেকেও আরও বড় তথ্য সামনে উঠে এল, যা শুনলে ভারতবাসী হিসেবে আপনিও গর্বিত হবেন। ভারতে সোনার ভাণ্ডার নিয়ে প্রকাশ্যে উঠে এল আরও চমকপ্রদ খবর।
বড় তথ্য দিল RBI
আরবিআই জানালো, ভারতের বৈদেশিক সোনার মজুদ ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। চলতি বছরের মার্চের শেষ পর্যন্ত ভারতের সোনার মজুদ কমেছে ৪৭ শতাংশ। ২০১৭ সালের পর এই প্রথম এই পতন রেকর্ড করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে গত মাসে ব্রিটেন থেকে ১০০ টন সোনা ভারতে ফিরিয়ে আনে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
২০২২ সাল থেকে আনা হচ্ছে সোনা
প্রকৃতপক্ষে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে, রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া গত ২০২২ সালের মার্চ মাসে বিদেশ থেকে ভারতে সোনা প্রত্যাহার শুরু করে, মার্কিন সরকার রাশিয়ার বৈদেশিক মুদ্রার সম্পদ আচমকাই ফ্রিজ করার সিদ্ধান্ত নেয়, যারপরে আরও বেশি বেশি করে দেশে সোনা ফেরানোর জন্য তৎপর হয়ে ওঠে ভারত। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে উঠে এসেছে। আর এই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মার্চ মাসের শেষে ভারতের সোনার মজুদ বেড়ে ৮২২.১ টনে দাঁড়িয়েছে।
বড় তথ্য দিলেন RBI গভর্নর
রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছেন, এই পদক্ষেপের জন্য পর্যাপ্ত দেশীয় সঞ্চয় ক্ষমতাকে দায়ী করা উচিত। মার্চের শেষে আরবিআইয়ের মোট সোনার হোল্ডিং ছিল ৮২২.১ টন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ৫৭টি ব্যাঙ্ক এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনার সমন্বয়ে একটি ইনভেসকো সার্ভে পরিচালিত হয়েছিল। সেইসময়ে এই সার্ভেতে উঠে এসেছিল যে যুক্তরাজ্য ৮ থেকে ১০ বছর আগে তার সোনার ঝুঁকি বাড়িয়েছিল। সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, ২০২০ সালে এই দেশগুলিতে সোনার মজুদ ছিল ৫০ শতাংশ, যা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৬৮ শতাংশে বেড়ে দাঁড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরপর এটি পরবর্তী পাঁচ বছরে এটি ৭৪ শতাংশে বেড়ে দাঁড়াবে বলে খবর।