কলকাতাঃ রেলে ভ্রমণ করার সময় চিন্তার দিন শেষ। আর বাড়ি থেকে ওষুধপত্র নিয়ে বেরোতে হবে না, কারণ এবার রেল যাত্রীদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে সকলকে চমকে দিল কেন্দ্র। এবার রেল স্টেশনগুলিতে খুব সহজেই এবং কম দামে ওষুধ পেয়ে যাবেন আপনি। শুনতে অবিশ্বাস্যকর লাগলেও এটাইএ একদম সত্যি।
বড় সিদ্ধান্ত রেলের
দেশবাসীর কল্যাণে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে বহু রাজ্য সরকার কিছু না কিছু কাজ করেই চলেছে প্রতিনিয়ত। তেমনই কেন্দ্রীয় সরকারের এক বড় উদ্যোগ হল জায়গায় জন ঔষধি কেন্দ্র খোলা। এই কেন্দ্রের মাধ্যমে দুঃস্থ মানুষরা অনেক কম দামে নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ পেয়ে যান। তবে এবার ভারতীয় রেল প্রধানমন্ত্রী জন ঔষধি কেন্দ্র খোলার পরিধি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল। এর জন্য ৬১টির বেশি রেল ডিভিশনের স্টেশনকে বাছাই করা হয়েছে। এর মধ্যে পুরনো দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ, আলিগড়, গোন্ডা, বস্তি, বালিয়া, বারাণসী সিটি, ফারুখাবাদ এবং উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, রাজস্থান সহ অন্যান্য রাজ্যের রেল স্টেশন রয়েছে।
কী বলছে রেল
‘প্রধানমনন্ত্রী জন ঔষধী কেন্দ্র’ খোলা নিয়ে বড় দাবি করেছেন রেল কর্তারা। তাঁরা বলছেন, প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। খুব শীঘ্রই এই স্টেশনগুলিতে সস্তা ওষুধের দোকান খোলা হবে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় জনৌষধি কেন্দ্রে প্রায় ১৯৬৩টি ওষুধ এবং ২৯৩টি অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম বিক্রি হয়। এটি অ্যান্টি-ক্যান্সার, অ্যান্টি-ডায়াবেটিকস, অ্যান্টি-সংক্রামক, অ্যান্টি-অ্যালার্জিক, গ্যাস্ট্রো এবং অন্যান্য পণ্য যা অনাক্রম্যতা বাড়ায় তা বিক্রি করার অনুমতি দেয়। অ্যালোপ্যাথির সঙ্গে আয়ুর্বেদিক পণ্যও এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ মাত্র দুই বছরে এত কোটি টাকা! পদ্মা সেতু থেকে হু হু করে টাকা কামাচ্ছে বাংলাদেশ
জানলে খুশি হবেন, ইতিমধ্যে রেলওয়ে বোর্ড একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছে যে ৬১ টি স্টেশনে জন ঔষধি কেন্দ্র খোলার প্রক্রিয়া দ্রুত করতে হবে। ইতিমধ্যেই ৫০টি রেল স্টেশনে এই ধরনের কেন্দ্র খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। স্টল খুলতে ইচ্ছুকদের আবেদন করতে বলেছে রেল। এই ধরনের কেন্দ্র খোলার উদ্দেশ্য হল সকলের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন ওষুধ সরবরাহ করা।