লোকসভা ভোট মিটতে না মিটতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক সিদ্ধান্তের জেরে রাতের ঘুম উড়েছে সকলের। আর সেটা হল হকার উচ্ছেদ। মূলত হকার উচ্ছেদ মিশনে নেমেছে রাজ্য সরকার। রাস্তা দখল করে বিশেষ করে অবৈধভাবে সব দোকান একে একে ফেলে দিচ্ছে প্রশাসন। কলকাতা সহ সমগ্র রাজ্যজুড়ে এই ড্রাইভ চলছে প্রশাসনের।
বিগত দুদিন ধরে শয়ে শয়ে দোকান বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এদিকে এখনও অনেক দোকান আছে যেগুলি আস্ত রয়েছে। তবে সেগুলিও কবে ভেঙে দেবে সরকার সেটা নিয়ে রীতিমতো সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকে। যাইহোক, গতকাল বৃহস্পতিবার ইউ টার্ন মেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘ফুটপাথ দখল মুক্ত করতে হবে’, মুখ্যমন্ত্রীর তরফে এই নির্দেশের পরেই
বড় নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
গতকাল নবান্নে এক প্রকার ইউ টার্ন মেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “আপাতত হকার উচ্ছেদ হবে না। এক মাস সমীক্ষা করে বিকল্প ব্যবস্থার চেষ্টা করবে সরকার। সুনির্দিষ্ট নীতির ভিত্তিতে ব্যবস্থা করা হবে।” ইতিমধ্যে এই বিষয়ে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি অবধি গঠন করা হয়েছে সরকারের তরফে। কিন্তু তার আগেই শহরজুড়ে বহু অবৈধ দোকান ফেলে দিল প্রশাসন। শহর থেকে শুরু করে শহরতলির জায়গায় জায়গায় চলছে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান।
খুলে দেওয়া হচ্ছে দোকান
যদুবাবুর বাজাড়ে ফুটপাতের দোকানগুলির কাঠামোর ত্রিপল খোলা হয়েছে। এদিকে গড়িয়া থেকে শুরু করে সোনারপুর, ডানলপে ফুটপাত দখল করতে নেমেছে প্রশাসন। কিছু কিছু দোকানের কাঠামো ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। বেআইনি ভাবে সরকারি জমি দখল করে চলা দোকানঘর উচ্ছেদের অভিযানে নামে প্রশাসন।
গত দু’দিন ধরে কলকাতা ও জেলায় পুর কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ হকার উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছিল। রাস্তায় বুলডোজার নামিয়ে অস্থায়ী দোকানগুলিকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘কারও আয়ের উৎস কেড়ে নেওয়া বা কাউকে বেকার করার কোনও অধিকার আমার নেই। লাখ লাখ মানুষ হকার করে সংসার চালায়। এক মাস উচ্ছেদ হবে না। এই সময়ের মধ্যে হকারদের ফুটপাত পরিষ্কার করতে হবে।’
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারপার্সন রাস্তায় হকারদের জন্য রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশকর্মীদের দায়ী করেছেন। অবৈধভাবে ফুটপাথে বসে থাকা হকারদের না সরালে কাউন্সিলরদের গ্রেফতারের হুমকি দেন তিনি।