বর্তমান সময়ে বিভিন্ন জায়গায় উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে চরম অশান্তি ছড়িয়েছে বাংলায়। ইতিমধ্যে এই মামলা হাইকোর্টেও উঠেছে। তবে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বেঞ্চে ওঠা একটি মামলায় চরম ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন খোদ বিচারপতি প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের জমির ওপর জায়গা দখল করে ব্যবসা করা নিয়ে সেইসঙ্গে উচ্ছেদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট।
পোর্ট ট্রাস্টের জমির অবৈধ দখল
কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে ১ বছর কেন, ১০০ বছর ধরে বেআইনি সরকারি জমি দখল করা মোটেও ন্যায়সঙ্গত নয়। কলকাতা হাইকোর্ট শুক্রবার হেলেন কেলার সরণির বেশ কয়েকজন বাসিন্দার গেলে রীতিমতো সপাটে চড় মেরেছে হাইকোর্ট। কয়েকজন ব্যক্তি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট এবং পুলিশের উচ্ছেদকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল।
উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার
কয়েকদিন আগেই মাঝেরহাট ব্রিজের কাছে হেলেন কেলার সরণীতে তাদের জমি দখল করে পার্টি অফিস গড়ে উঠেছে বলে এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরপর সেই মামলাতেই পুলিশকে উচ্ছেদ অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। তবে এখানেই বাঁধে যত বিপত্তি। গত সোমবার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে গিয়ে স্থানীয়দের প্রবল বাধার মুখে পড়তে হয় পুলিশ বাহিনীকে । স্থানীয়দের দাবি, বিনা নোটিসে উচ্ছেদ করা যাবে না। ফলে মাঝপথেই উচ্ছেদ অভিযান থামিয়ে ফিরে আসতে হয় পুলিশকে।
এরপর জমি দখল এবং উচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন স্থানীয়রা। সেই আবেদন মঞ্জুরও করেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ। এরপরেই প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে বলতে শোনা যায়, ‘১০০ বছর ধরে কোনও জমি দখল করে বাস করলে সেই জমির প্রতি দখলদারদের অধিকার জন্মায় না।’