নয়া দিল্লিঃ বাড়তি বিদ্যুতের বিল নিয়ে এমনিতেই সাধারণ মানুষ রাতের পর রাত ঘুমাতে পারেন না। কয়েকদিন আগে অবধি পশ্চিমবঙ্গ সহ সমগ্র দেশের আবহাওয়া যে হারে গরম হয়ে উঠেছিল সেখানে কমবেশি সকলেরই বাড়িতে বিদ্যুতের বিল বেশ অনেকটাই এসেছিল। কিন্তু তা বলে এক মাসে এক সাধারণ ছাপোষা বাড়ির লোকের বাড়িতে বিদ্যুতের বিল এক বা দুই হাজার নয়, এক ধাক্কায় ৩১ লক্ষ টাকার বিল এসেছে এমন শুনেছেন কখনও? কিন্তু এমনই ঘটেছে।
৩১ লক্ষ টাকার বিল পেলেন শ্রমিক
বাড়তি বিদ্যুতের বিল নিয়ে মাথায় হাত পড়েছে এক সাধারণ দিন মজুরের। আদতে বিহারের মুজফফরপুর জেলায় বিদ্যুৎ দফতরের বড়সড় গাফিলতি প্রকাশ্যে উঠে এসেছে। জানলে আকাশ থেকে পড়বেন, বিদ্যুৎ বিভাগ এক শ্রমিকের পরিবারকে ৩১ লক্ষ টাকার বিল পাঠিয়ে চমকে দিয়েছে সকলকে।
ভুক্তভোগী শ্রমিক জানিয়েছেন যে তাঁর বাড়িতে মাত্র ৩টি বাল্ব এবং ২টি ফ্যান চলে। স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুৎ দফতরের তরফে পাঠানো বিদ্যুতের বিল দেখে শ্রমিকের হুঁশ উড়ে গিয়েছে। আর হওয়াটাই স্বাভাবিক। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ দফতরে ওই শ্রমিকের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়, তারপরই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মাথায় হাত শ্রমিকের
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি মুজফফরপুরের পিয়ার থানা এলাকার সিমরা পঞ্চায়েতের। শুভলাল সাহনি নামে এক ব্যক্তি জানান, মাস দুয়েক আগে বিদ্যুৎ বিভাগ তাঁর বাড়িতে স্মার্ট মিটার লাগিয়ে দিয়ে যায়। সবই ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু আচমকাই বিদ্যুৎ দফতরের তরফে তাঁর বাড়িতে আস্ত ৩ লক্ষ টাকার বিল ধরানো হয়। ওই শ্রমিক আরও জানান, মিটারটি তাঁর স্ত্রী ফুলা দেবীর নামে। মাত্র ২ মাস হল ৩১ লক্ষ টাকার একটি বিল তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকটি জানিয়েছেন যে তার বাড়িতে খুব কম বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম রয়েছে, এই ক্ষেত্রে অবশ্যই বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে কোনও সমস্যা হয়েছে।