পুলিশ অফিসার থেকে স্বঘোষিত ধর্মগুরু! হাথরসের ভোলের বাবার আসল পরিচয় জানেন?

Published on:

bhole-baba

হাথরসঃ স্বঘোষিত ধর্মগুরুর অনুষ্ঠানে যাওয়াই যেন কাল হয়েছিল সকলের। উত্তরপ্রদেশের হাথরসে পদপিষ্টের ঘটনায় হু হু করে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, এখনও অবধি এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১২১ জনের। এছাড়া আহত হয়েছে ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ‘ভোলে বাবা’-র। না ভগবান শিব নয়, এই ভোলে বাবা একজন স্বঘোষিত ধর্মগুরু, যার সৎসঙ্গে গিয়ে মৃত্যু মিছিল হয়।

কে এই ভোলে বাবা?

মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ভোলে বাবা-র সৎসঙ্গ চলাকালীন পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। ধর্মগুরুর পদধুলি নিতে রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায় বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। এই ঘটনার পরেই ভোলে বাবা পলাতক। তাকে খুঁজছে পুলিশ। তবে প্রশ্ন উঠছে কে এই ভোলে বাবা যার সৎসঙ্গে এরকম একটা ঘটনা ঘটে গেল? নারায়ণ সাকর হরি ওরফে ভোলে বাবার জনপ্রিয়তা এতটাই যে, তাঁর সৎসঙ্গ শোনার জন্য প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষের ভিড় জমেছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু কে এই নারায়ণ সাকর হরি, যাঁর সৎসঙ্গ স্থান মঙ্গলবার শ্মশানে পরিণত হয়েছিল?

নারায়ণ হরি ওরফে ভোলে বাবার আসল নাম সুরজপাল। তিনি আদতে কাসগঞ্জ জেলার বাহাদুর নগরের বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকেই বাবার সঙ্গে কৃষিকাজ করতেন তিনি। কিন্তু তার পরেই তাঁকে পুলিশ বিভাগে ভর্তি করা হয়। প্রায় ১৭ বছর পুলিশ বিভাগে কাজ করার পর তিনি ভিআরএস নেন। বলা হয় যে সুরজপালের প্রথম থেকেই আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝোঁক ছিল। যেমন ভাবা তেমন কাজ নব্বইয়ের দশকে পুলিশ বিভাগ ছাড়ার পর তিনি পুরোপুরি এর দিকে ঝুঁকে পড়েন। তখন থেকেই তিনি সৎসঙ্গ পরিচালনা শুরু করেন। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তাঁর প্রতিপত্তি।

পরনে থাকত সাদা জামা, নীল টাই

ভোলে বাবার পরনে থাকত সাদা জামা, নীল টাই, যা সকলের নজর কাড়ত। তিনি নিজেকে হরির শিষ্য হিসাবে বর্ণনা করেন। এই কারণে তিনি সুরজপাল থেকে নিজের নাম পরিবর্তন করে নারায়ণ সাকার হরি রাখেন। পুলিশ বিভাগ থেকে ভিআরএস নেওয়ার পরে, নারায়ণ হরিকে সর্বদা সৎসঙ্গের সময় সাদা স্যুট এবং নীল টাই পরে থাকতে দেখা যায়। বাহাদুর নগরে আশ্রম খোলার পর দরিদ্র ও বঞ্চিত শ্রেণীর মানুষের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বর্তমান সময়ে তাঁর লক্ষ লক্ষ অনুগামী রয়েছে।

WhatsApp Community Join Now
সঙ্গে থাকুন ➥
X