‘দু’বছর জেল খাটলাম …’ এবার হাইকোর্টে আরেক কাণ্ড ঘটালেন মানিক! স্তব্ধ সবাই

Published on:

manik-calcutta-hc

কলকাতাঃ যত সময় এগোচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিকাণ্ডে নতুন নতুন মোড় উঠে আসছে। এই ঘটনায় পৃথকভাবে তদন্ত করছে ইডি থেকে শুরু করে সিবিআই। এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জেলে রয়েছেন বেশ কিছু হেভিওয়েট, যাকে ঘিরে অস্বস্তির শেষ নেই শাসক দল তৃণমূলের। ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে কেউ ২ বছরেরও বেশি সময় বা দু বছর হবে এমনও অনেকে রয়েছেন।

WhatsApp Community Join Now

বর্তমান সময়ে এই মামলায় শাসক দলের দুজন হেভিওয়েট জেলবন্দি। যারা হলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভটাচার্য। তবে জামিনের মামলায় আদালতে মানিক ভট্টাচার্যকে তোলা হলে তিনি এমন এক কথা বলেন যা শুনে বিচারপতির পাশাপাশি সকলেই শুনে থ হয়ে গিয়েছেন।

জামিনের জন্য আর্তি মানিকের

বৃহস্পতিবার কাঠগড়ায় উঠেই রীতিমতো হাউ হাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য মানিক ভট্টাচার্য। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। যাইহোক, গতকাল বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে মানিকের জামিনের মামলা উঠেছিল।

এরপর এই মামলা উঠতেই তিনি হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন। আর এহেন দৃশ্য দেখে স্বাভাবিকভাবেই অবাক হয়ে যান। এরপর বিচারপতির তরফে মানিককে জিজ্ঞাসা করা হয় যে তাঁর কী হয়েছে। জানান, তাঁর নাকি আর বেশি দিন আয়ু নেই। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মানিক ভট্টাচার্য জানান, ‘চিকিৎসকরা বলে দিয়েছেন আমার আর বেশি দিন আয়ু নেই। দু’বছর জেল খেটে ফেললাম, এবার জামিন দিন।’

আর বাঁচবেন না বিধায়ক?

আদালতে দাঁড়িয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি আদালতে বলেন, “২০১৬ সালে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। সেই সময় চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, আর ১০ বছর বাঁচব। অর্থাৎ ২০২৬ সালেই আমার আয়ু শেষ।” এরপরেই ইডির আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি জানতে চান যে, ‘অভিযুক্তকে কেন এখনও আটকে রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে? কেন তাঁকে জামিন দেওয়া হবে না?’ এর জবাবে ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি জানান, ‘নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক তছরুপের মামলা মানিক অন্যতম অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে। নির্দিষ্ট পিএমএলএ আইন মেনেই তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে।’

সঙ্গে থাকুন ➥
X