কলকাতাঃ লোকসভা ভোট মিটে গিয়েছে। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের থেকে শুরু করে আরও বহু রাজ্যের সরকারি কর্মীদের পকেট, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফুলে ফেঁপে উঠতে শুরু করেছে। এর অবশ্যই বড় কারন হল মহার্ঘ্য ভাতা বা DA বৃদ্ধি। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কর্মরত লাখ লাখ সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে পেনশন প্রাপকরা ৫০ শতাংশ হারে DA পাচ্ছেন। এছাড়া আরও অনেক রাজ্যের সরকারি কর্মীরাও ৫০ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন।
বাংলার কথা বললে, এখানকার রাজ্য সরকারি কর্মীরা ১৪ শতাংশ হারে ডিএ পেতে শুরু করেছেন। এছাড়া আর অন্যান্য ভাতা তো রয়েইছেই। তবে ডিএ এবং বেতনের পরিমাণ আরও বেশ খানিকটা বাড়বে বলে আশা করছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা।
১৫ জুলাইয়ের দিকে তাকিয়ে সকলে
আগামী ১৫ জুলাই অর্থাৎ আর দু’দিন পর সরকারের তরফে এক গুরুতপূর্ণ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। এই হাইভোল্টেজ বৈঠকে বসতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের বহু মন্ত্রী। এই বৈঠকে লাখ লাখ সরকারি কর্মচারীর বেতন ও ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে খবর।
বড় ইঙ্গিত শাসক দলের
সম্প্রতি কর্ণাটকের সরকার ইঙ্গিত দিয়েছিল যে কেন্দ্রের মতো প্রতীক্ষিত সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত এই রাজ্যের সরকার। ফ্ললে আগ্মি ১৫ জুলাই হতে চলা বৈঠকে এই বিষয়ে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ে কথায় আশায় বুক বেঁধেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি কর্মীরা ডিএ ও বেতন বৃদ্ধির ব্যাপারে সরকারের কাছে আর্জি জানিয়ে আসছিল। এমনকি সরকারি কর্মীদের সঙ্গে এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া সকলকে আশ্বস্তও করেছেন যে সব দাবি দাওয়া মেনে নেওয়ার। সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতন ২৭.৫ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। কর্ণাটকের রাজ্য সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম মূল বেতন ১৭ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৭ হাজার টাকা করা উচিত বলেও দীর্ঘদিন ধরে দাবি করা হচ্ছিল। এখন দেখার আগ্মমী ১৫ জুলাই সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়।