LPG সিলিন্ডার পেতে বেলতে হবে পাঁপড়, আসছে নয়া নিয়ম! বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

Published on:

Liquefied petroleum gas, Gas Cylinder, Central Government, 

কলকাতাঃ বর্তমান সময়ে ভারতে এমন কোনো হেঁশেল হয়তো বাকি নেই যেখানে রান্নার গ্যাস নেই। আপনার বাড়িতেও আছে নিশ্চয়ই। কিন্তু এই গ্যাস কানেকশনে নয় সরকারের ঘরে কারচুপি নিয়ে নানা রকম অভিযোগ জমা পড়ছে। যে কারণে গ্যাস পরিষেবায় স্বচ্ছতা আনতে এবং ভর্তুকি পাওয়া ভজায় রাখতে সরকারের তরফে E-KYC করা বাধ্যতামূলক করেছে। গ্যাসে ভর্তুকি পেতে হলে ই-কেওয়াইসি ভেরিফিকেশন করতেই হবে। ই-কেওয়াইসি  প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনার পরিচয় এবং আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রমাণিত হয়। আপনার ঘরেও কি রান্নার গ্যাস আছে? তাহলে আপনার জন্য রইল জরুরি খবর।

৮ মাস ধরে চলছে কাজ

WhatsApp Community Join Now

বিগত ৮ মাস ধরে সমগ্র দেশজুড়ে এই E-KYC বা আধার ভেরিফিকেশন করার কাজ চলছে। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেন, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট দূর করতে এবং বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডারের ভুয়ো বুকিং রুখতে তেল বিপণন সংস্থাগুলি (ওএমসি) এলপিজি কাস্টারের জন্য ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া চালু করছে। তবে পুরী এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে আট মাসেরও বেশি সময় ধরে ইকেওয়াইসি প্রক্রিয়া চলছে।

কীভাবে করবেন EKYC আপডেট

এখনো অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগছে যে কীভাবে সকলে EKYC আপডেট করবেন। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, এলপিজি সিলিন্ডার সরবরাহের সময়, গ্যাস এজেন্সির কর্মীরা গ্রাহকের নথি যাচাই করে। সিলিন্ডার সরবরাহকারী ব্যক্তি তার মোবাইলের মাধ্যমে একটি অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকের আধার শংসাপত্র সংগ্রহ করেন। এই গোটা প্রক্রিয়ায় কাস্টারের রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি আসে, যা দিয়ে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে। এছাড়া আপনি চাইলে সুবিধা অনুযায়ী ডিস্ট্রিবিউটর শোরুমে গিয়েও যোগাযোগ করতে পারেন।

বাড়িতেও করা যাবে আপডেট

বাড়িতেও আপনি নিজেই মাত্র কয়েকটি স্টেপ ফলো করে E-KYC আপডেট করে নিতে পারবেন। এখন নিশ্চইয়ই ভাবছেন কীভাবে? E-KYC করতে হলে IOC, HPCL -এর মতো সংস্থাগুলির অ্যাপ ইনস্টল করে যে কোনও গ্রাহক নিজেরাই E-KYC সম্পূর্ণ করতে পারেন।

E-KYC নিয়ে সরকারের সমালোচনা

E-KYC নিয়ে বড় মন্তব্য করেছেন ‘অল ইন্ডিয়া এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর্স ফেডারেশন’ বা AILDF-এর সহ-সভাপতি বিজন বিশ্বাস। তাঁর মতে,  ‘পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের এই উদ্যোগ ‘যথেষ্ট নয়’। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে আমরা বলতে পারি যে, ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে গত আট মাসে LPG সংযোগের সঙ্গে আধার ও বায়োমেট্রিক যুক্ত করার কাজ সেরে ফেলেছি। তবে এ ভাবে গ্যাসের কালোবাজারি আটকানো সম্ভব নয়। তার আগে সুষ্ঠু নীতি তৈরি করা উচিত।’

আরও পড়ুনঃ ১৫০ বছরের পথ চলার ইতি? কলকাতায় ট্রাম পরিষেবা বন্ধ করতে পারে রাজ্য সরকার

এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, ‘উজ্জ্বলা যোজনায় ৩০০ টাকা ভর্তুকি দিয়ে বছরে ১২টি সিলিন্ডার দেওয়া হচ্ছে। যাঁদের এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের LPG সিলিন্ডার কেনার ক্ষমতা নেই। তাই তাঁরা সরকারি ভর্তুকির সুবিধাটুকু নিচ্ছেন। এবার অনেকেই নিজেদের ব্যক্তিগত সিলিন্ডার বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে কাজে লাগানোর জন্য বিক্রি করে দিচ্ছেন। সেক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির নামে বছরের পর বছর LPG গ্যাস বুক করে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে চালানো হচ্ছে। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের আগে এই বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।’

সঙ্গে থাকুন ➥
X