কলকাতাঃ তৃণমূলের ২১শে জুলাইয়ের পরেই বিরাট পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। আগামী ২২ জুলাই বৃহত্তর আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। আর এই নিয়ে সম্প্রটি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য গেরুয়া শিবির। আর এই মামলাতেই এবার বিরাট জয় পেল বঙ্গ বিজেপি। তবে ২২ জুলাইয়ের পরিবর্তে আগামী ২৬ জুলাইয়ে বিজেপিকে প্রতিবাদ করার অনুমতি দল কলকাতা হাইকোর্ট। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন ব্যাপারটা কী? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর।
বিজেপিকে অনুমতি আদালতের
আসলে CESC-র বিদ্যুত্ মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিজেপি মহা মিছিলের ডাক দিয়েছিল ২২ জুলাই। এই অনুমতির জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। আর সেই অনুমতি মিলেও গেল, যদিও তা শর্তসাপেক্ষ। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ২৬ জুলাই পরিবেশ বিধি মেনে দুপুর আড়াইটে থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১ হাজার নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করা যাবে। সাধারণ মানুষের অসুবিধা করা যাবে না। যদিও হাইকোর্টের এহেন রায়ে রাজ্য সরকার অস্বস্তিতে পড়বে সেটা বলাই যায়।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আসরে বিজেপি
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ২২ জুলাই ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসে ক্যালকাটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন লিমিটেডের (সিইএসসি) সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ করার অনুমতি নিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বণ্টন সংস্থা সিইএসসি লিমিটেডের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর অনুমতি চেয়ে পিটিশন দাখিল করে বিজেপি। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের একক বেঞ্চ আবেদনটি গ্রহণ করে এবং শুক্রবার বিষয়টি শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করে। ২১শে জুলাইয়ের পরের দিনই বিজেপির এই মিছিলের অনুমতি দিতে অস্বীকার করে পুলিশ। এরপরেই আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি।
বিজেপির বঙ্গ নেতা তমোঘ্ন ঘোষ তাঁর আবেদনে বলেন, সম্প্রতি বিদ্যুতের মাশুল মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধির কারণে জনস্বার্থে এই প্রতিবাদ করা হবে। অবশেষে সেই মামলায় জয় পেল দল।
রাজ্য-বিরোধী দলে দড়ি টানাটানি
রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, ‘CESC এলাকায় ইউনিট প্রতি বিদ্য়ুতের মাশুল বাড়ানো হয়নি। ফলে যে সমস্য়ার প্রেক্ষিতে এই মিছিল ও অবস্থান বিক্ষোভে ডাক দেওয়া হয়েছে, সেই সমস্যাটা আর নেই’। রাজ্যের বক্তব্য, ‘বিজেপির তরফে এখনও CESC-র কাছে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। চাইলে সেখানে গিয়ে অভিযোগ জানাতেই পারেন দলের প্রতিনিধিরা’।
এদিকে বিচারপতির পাল্টা প্রশ্ন, ‘কীভাবে বা কোন পদ্ধতিতে অভিযোগ জানানো হবে, সেটি কি রাজ্য ঠিক করতে পারে? আমাদের কাছেও যখন হাইকোর্টের কর্মচারীরা তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে আসেন, তখন আমরা কিন্তু তাদের দাবিপত্রে কী আছে, সেটা জানতে চাই না। আমরা শুধু কখন আসতে হবে, সেটা জানতে চাই’।
আড়ি পড়ুনঃ পরীক্ষা ছাড়াই ৪৪,০০০ পদে কর্মী নিয়োগ করছে India Post, এভাবে করুন আবেদন
রাজ্যের তরফে বলা হয়, ‘ওয়াই চ্যানেলে অবস্থান বিক্ষোভ করলে কোনও সমস্যা নেই। ওয়াই চ্যানেলের অবস্থান বিক্ষোভ থেকে দাবিপত্র জমা জমা দিতে আসতে পারেন’। বিজেপির পাল্টা সওয়াল, ‘যদি ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে কর্মসূচিতে অসুবিধা থাকে, তাহলে আজ থেকে সেখানে সমস্ত দলের কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক’।