IT ইঞ্জিনিয়ার্সদের থেকেও বেশি বেতন! এই ডেলিভারি বয়ের আয় জেনে ছেড়ে দেবেন চাকরি

Published on:

delivery boy

কলকাতাঃ উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভালো চাকরি পেতে কে না চায়। আপনিও চান নিশ্চয়ই? এমনিতে অফিস কর্মীদের মাসে ১০০০০ থেকে ১৫০০০ টাকা বেতন পেতে গিয়েই কালঘাম ছুটে যায়। আবার এমন বহু অফিস রয়েছে যেখানে কিছু লোকের বেতন ৩৫-৪০ হাজার টাকা বা আবার লাখ টাকাও ছাড়িয়ে যায়। তবে তেমন লোকের সংখ্যা খুব কমই রয়েছে। বেশি বেতন মানেই বেশি কাজের চাপ। সে কর্পোরেট হোক কিংবা সরকারি চাকরি, চাপ কাকে বলে তা হারে হারে জানেন সকলে।

WhatsApp Community Join Now

কিন্তু আজ এই প্রতিবেদনে এমন একজনকে নিয়ে আলোচনা করা হবে যে কিনা শুধুমাত্র খাবার ডেলিভারি করে মাস গেলে মোটা মাইনের টাকা পায়। তাঁর উপার্জন শুনলে বাঘা বাঘা ইঞ্জিনিয়াররাও হয়তো লজ্জায় মুখ ঢাকবেন।

ডেলিভারি বয়দের আয় দেখে লজ্জা পাবেন আপনিও

একজন ডেলিভারি বয় বলেছেন যে তিনি মাসে এত বেশি উপার্জন করেন যে যারা বড় বড় অফিসে চকরি করেন তাঁরাও অত পান কিনা সন্দেহ। তাঁর দাবি, অনেকেই তাঁর উপার্জন শুনে অফিসের চাকরির ছেড়ে ডেলিভারি বয়ের কাজ শুরু করে দেবেন। আসলে একজন ইউটিউবার বেঙ্গালুরুতে সুইগি এবং জোম্যাটো ডেলিভারি এজেন্টদের সাক্ষাত্কার দিয়েছিলেন এবং তাদের উপার্জন সম্পর্কে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করেছিলেন। লাভিনা কামাথ ভারতের আইটি রাজধানীতে দুই ডেলিভারি বয়ের সাথে কথা বলেছেন। ওই ডেলিভারি বয়দের দাবি যে তারা আইটি ইঞ্জিনিয়ারের চেয়ে বেশি আয় করেন। ভিডিওতে লাভিনা বলছেন, একজন আইটি ইঞ্জিনিয়ার মাসে গড়ে ২০,০০০ টাকা আয় করেন, কিন্তু এই দুই ডেলিভারি বয় দ্বিগুণ বা তারও বেশি আয় করেন। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।

৪০,০০০-৫০,০০০ হাজার টাকা আয়

মহিলা ইউটিউবারের মুখোমুখি হয়ে সুইগির ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজ করা শিবা এবং জোম্যাটোর অর্ডার ডেলিভারি করা তৈয়াপ্পা তাদের মাসিক আয়ের কথা জানিয়েছেন। আর এই আয় শুনে সকলের চোখ কার্যত কোটর থেকে ঠিকরে বেরিয়ে আসবে বৈকি। শিবা জানান, প্রতি মাসে তিনি ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করেন। তিন বছর ধরে ডেলিভারি এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ সপ্তাহের শুরুতেই দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, বর্ষার লেটেস্ট আপডেট

অন্যদিকে তাইপ্পা জানিয়েছেন, তিন বছর ধরে জোম্যাটোর ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজ করছেন তিনি। মাসে তার আয় প্রায় ৪০ হাজার টাকা মতো। কি শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু তাঁরা দুজনে এমনটাই দাবি করেছেন। এদিকে ইউটিউবার বলছেন, বেশিরভাগ মানুষই ডেলিভারি বয় হয়ে এতে ক্যারিয়ার গড়তে চান না, বরং কিছু টাকা আয়ের জন্য সঙ্গে সঙ্গে ডেলিভারি এজেন্ট হয়ে যান। তিনি আরও বলেন, এ বছর ২০২৪ সালে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের চেয়ে বেশি আয় করছেন ফুড ডেলিভারি পার্টনাররা। এজন্য ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করছেন তিনি।

সঙ্গে থাকুন ➥