বিরক্ত হয়ে ইংরেজ সাহেব দেন নাম! পূর্ব রেলের ‘নয়দার ঢাল’ স্টেশনের নামকরণের ইতিহাস জানেন?

Published on:

Noadar Dhal eastern railway zone

কলকাতাঃ নোয়াদার ঢাল… পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের এক বিখ্যাত রেল স্টেশন। তবে হাওড়া ডিভিশনের এমন অনেক রেল স্টেশন রয়েছে যেগুলির নাম বিদঘুটে। অনেকেই আছেন যারা এই নামগুলি নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করেন। যেমন এই ঢাল নিয়েই অনেক স্টেশনের নাম আছে, যেমন ‘ঝাপটের ঢাল’, ‘পিচকুড়ির ঢাল’ প্রভৃতি। শান্তিনিকেতন কিংবা তারাপীঠ যাওয়ার সময়ে এই স্টেশনগুলি সকলেরই চোখে পড়ে। এই স্টেশনগুলির ইতিহাস নিয়েও মানুষের নানারকম কৌতূহল আছে বৈকি। তেমনই আজ এই আর্টিকেলে নোয়াদার ঢাল স্টেশনের উৎপত্তি কীভাবে হল তা নিয়ে আলচনা করা হবে।

নোয়াদার ঢালের ইতিহাস!

WhatsApp Community Join Now

আপনার মাথাতেও কি নোয়াদার ঢালের ইতিহাস কী তা নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে? তাহলে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর। শোনা যায় নাকি সেই ১৮৫৩ সালে ভারতে ব্রিটিশরা রেলপথ চালু করেছিল সুদূর বোম্বাইয়ে,তার পরের বছরই সাহেবদের উদ্যোগে হাওড়া থেকে হুগলি পর্যন্ত রেলপথ চালু হয় এবং ক্রমশ তা রানীগঞ্জ পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। এরপর ব্রিটিশদের ইচ্ছে হয় রেলপথ এইদিকে সাহেবগঞ্জ পর্যন্ত নিয়ে যাবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। বর্ধমান থেকে সাহেবগঞ্জের মধ্যে অনেকগুলো স্টেশন, প্লাটফর্ম তৈরিও হল। এরপর এল সাল ১৮৬০, যখন স্টেশন নির্মানের কাজ প্রায় শেষ বললেই চলে, ইংরেজ সাহেবদের তত্ত্বাবধানে ভারতীয় শ্রমিক,কর্মচারীদের পরিশ্রমে রেললাইন বসানোও শেষ।

একের পর এক স্টেশন পেলেন মানুষ

এরপর একে একে স্টেশনগুলির নামকরণও হয়ে গেলো। যেমন মানুষ পেলেন গুসকরা,বনপাশ,পিচকুড়ির ঢাল, বোলপুর,ভেদিয়া,ঝাপটের ঢাল,রামপুরহাটের মতো রেল স্টেশন। সব স্টেশনের নামকরণ হয়ে গেলেও একটা স্টেশনের নামকরণ শুধু বাকি রয়ে গেলো। এরপর ওই নামহীন স্টেশনের এক দেশীয় কর্মচারী রেলের এক ইংরেজ সাহেবের কাছে গিয়ে বললেন, “সাহেব স্টেশন তো হলো কিন্তু স্টেশনের যে একটা নাম দিতে হয়, স্টেশনের নাম কী হবে?”

আরও পড়ুনঃ মাছপ্রেমীদের পোয়া বারো, জলের দরে মিলছে ইলিশ! কোথায়? জেনে নিন বাজার দর

এদিকে ইতিমধ্যেই দুটি স্টেশনের নাম ‘পিচকুড়ির ঢাল’ আর ‘ঝাপটের ঢাল’ দিয়ে দেওয়ায় “ঢাল” শব্দটার প্রতি সাহেবদের একটু বিরক্তিভাব চলে এসেছিলো। সাত-পাঁচ না ভেবে সাহেবটি দেশীয় কর্মচারীটিকে বলে দিল…”Put anything but ‘NO OTHER DHAL’ এদিকে সাহেবের এহেন কথা শুনে স্বাভাবিকভাবেই মহাফাঁপরে পড়েন শ্রমিক। এরপর কিছুদিন পরেই স্টেশনের নাম জ্বলজ্বল করে উঠলো, ‘নোয়াদার ঢাল।’ অনেকেই আবার ঠাট্টা করে বলেছেন, সাহেবের বলা ‘NO OTHER DHAL’ -কে শ্রমিক ভেবেছে নোয়াদার ঢাল নামকরণ করতে বলছেন সাহেব।

বি.দ্রঃ এই কাহিনীটির সত্যতা যাচাই করেনি https://indiahood.in/

সঙ্গে থাকুন ➥