কলকাতাঃ অবশেষে সকল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বিরাট জয় পেলেন প্রাইমারি শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এমনিতে প্রাথমিকে চাকরির দাবিতে শয়ে শয়ে দিন ধরে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বহু চাকরি প্রার্থী। আদালতে একের পর এক শুনানি হলেও স্বস্তির খবর যেন কেউ পাচ্ছেনই না। তবে এসবের মাঝেই এবার বড় জয় পেলেন প্রাথমিকের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তবে কি সবাই চাকরি পেয়ে গেলেন?
বড় জয় পেলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা
সিঙ্গল বেঞ্চ ও ডিভিশন বেঞ্চে দীর্ঘ আইনি লড়াই হচ্ছিল এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন নিয়ে। বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের হলঘরে কোনওরকম কর্মসূচি করা যাবে না বলে জানানো হয়। এরপরেই এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বহু শিক্ষক শিক্ষিকা। এরপর সিঙ্গল বেঞ্চ ও ডিভিশন বেঞ্চ সাফ সাফ জানিয়ে দেয়, ওই হলঘরেই হবে রক্তদান কর্মসূচি। মূলত আদতে আদালতে মুখ পুড়ল জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের। কারণ শেষ পর্যন্ত সংসদের হলঘরেই হল উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ও ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রক্তদান শিবির। মূলত হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে বড় জয় হল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। এতে করে শিক্ষক-শিক্ষিকা মহলের দাবি, বাঁকুড়া ডিপিএসস্যার বিরুদ্ধে সমাজের স্বার্থে উস্থির বড় জয় হল।
ফিরে যেতে হবে ২০১৯ সালে
আসলে ২০১৯ সালে এ রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাসের দাবিতে একটি আন্দোলনের সাফল্যকে স্মরণীয় করে রাখতে অন্যান্য বছরের মতো চলতি বছর ২৮ জুলাই বাঁকুড়া জেলায় বিশেষ কর্মসূচি নেয় উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও ২৮ জুলাই এই কর্মসূচির জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল সংসদের কাছে। প্রথমে নিমরাজি হলেও পরে সংসদ তা বাতিল করে দেয়। এরপরেই আদালতের দ্বারস্থ হয় ২০১৯ সালে এ রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাসের দাবিতে একটি আন্দোলনের সাফল্যকে স্মরণীয় করে রাখতে অন্যান্য বছরের মতো চলতি বছর ২৮ জুলাই বাঁকুড়া জেলায় বিশেষ কর্মসূচি নেয় উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। এরপর আজ রবিবার সকালে আসে সেই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত রায়। অনুমতি দেওয়া হয় কর্মসূচির। এরপর আদালতের বেঁধে দেওয়া নিয়ম মেনে সংসদের হলঘরেই রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে ওই শিক্ষক সংগঠন।